

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মানহীন ইট ও ইটের খোয়া দিয়ে রাস্তা সংস্কারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধীকারী এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলার কোলা ইউনিয়নের কোলা গ্রামের অন্তর্গত কোলা পোস্ট অফিস নামক স্থান থেকে কোলা ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে শ্রীনগর উপজেলার সিংপাড়া বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির সংস্কার কাজ মানহীন ইট ও ইটের খোয়া দিয়ে করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয় সরকার এলজিইডি প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। রাস্তাটির সংস্কারের দায়ীত্ব পায় লিপু এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধীকারী বিএনপি নেতা কাজী কামরুজ্জামান লিপু বলে জানা জানা যায়।স্থানীয়া অভিযোগ করে বলেন, রাস্তাটি সংস্কার কাজ শুরুর পর থেকেই কাজে অনিয়ম করে আসছেন ঠিকাদার কাজী কামরুজ্জামান লিপু। একাধিকবার সংস্কারে অনিয়মের বিষয়টি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম কে অবহিদ করা হলেও তিনি রহস্যজনক কারণে কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন নি। সম্প্রতি স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে মানহীন ইট ও ইটের খোয়া দিয়ে চলমান রাস্তার সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেয় স্থানীয় এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন ইটের সাথে শিংহভাগ মানহীন ইট ও ইটের খোয়া মিশিয়ে রাস্তার সংস্কার কাজ চলছে বেশ জোড়ালো ভাবেই। রাস্তায় যে ইটের খোয়া দিয়ে কার্পেটিং করা হয়েছে সেগুলোর উপর দিয়ে ইজিবাইক চলার কারণে মুড়মুড়িয়ে গুড়ো হয়ে যাচ্ছে। এসময় স্থানীয়দের কাছে রাস্তার সংস্কার কাজের ব্যপারে জানতে চাইলে জানান, আমরা তো জানি না কোন ইট দিয়ে রাস্তা করার কথা। তারা কাজ করতাছে আমরা দেখতাছি।
কিছু জিগাইলেই কয় কন্ট্রাক্টরকে কন। আমাগো কইয়া লাভ নাই। এ ব্যপারে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম বলেন, শনিবার একটি ট্রাকের ইট খারাপ ছিলো সেগুলো ফেরত দিতে বলেছি। আর যেইগুলো বিছিয়েছে সেগুলো রোলার দিয়ে চাপা দিয়েছে। সেগুলো আর কি করা যাবে। অভিযুক্ত লিপু এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী কাজী কামরুজ্জামান লিপু বলেন, কাজটি আগের বরাদ্দের। আগে যে বরাদ্দ দেওয়া হইছে সে বরাদ্দের কয়েকগুন নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে। আমাদেরতো কাজ উঠাতে হবে। তাই এ ইট দিয়ে করছি কি আর করবো বলেন। উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলামের কাছে জানালে তিনি বলেন, শনিবার একটি ট্রাকের ইট খারাপ ছিলো সেইগুলো ফেরত দিতে বলেছি। আর যেইগুলো বিছিয়েছে সেগুলো রোলার দিয়ে চাপা দিয়েছে। সেগুলো আর কি করা যাবে মুন্সিগঞ্জ জেলা এলজিইডি সিনিয়র প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র দাস বলেন, আমি এখনি উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী কে বলে দিচ্ছি দিনি যেনো তিনি কাজের তদারকি করেন। কোন নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা যাবে না। যদি নিম্ন মানের ইট রোলার দিয়ে চাপা দিয়ে থাকে তবে সেইগুলো সরিয়ে নিতে হবে।