বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমেরিকার অ্যাম্বাসেডর বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের কাছে কিছু চাইনি। আর প্রধানমন্ত্রী বলছেন, সেন্টমার্টিন দিয়ে দিলে তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। আবার কিছুদিন আগে বলেছিলেন, ভারতকে যা দিয়েছি সারাজীবন মনে রাখবে। এখন আর দেওয়ার মতো কিছু নেই। এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভারতকে ভালোবাসা ছাড়া দেওয়ার মতো কিছু নেই।
রোববার (২৫ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম সজনুসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে ফেনী জেলা জাতীয়তাবাদী পরিষদ।
গয়েশ্বর বলেন, আমেরিকার বিরুদ্ধে আবোল-তাবোল বলছেন (প্রধানমন্ত্রী), সেন্টমার্টিন দিয়ে দিলে নাকি তারা ক্ষমতায় রাখবে। দেশটা দিয়ে দিলেও যদি তিনি ক্ষমতায় থাকতেন, সেই কাজটা করতেও দ্বিধাবোধ করতেন না।
বর্ডারে ভারতের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী পাখির মতো বাংলাদেশের মানুষকে মারছে দাবি করে তিনি বলেন, কিন্তু সরকার একটা প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। অথচ আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করে, চিন্তা করেন। আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বছরে বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে কিন্তু আমদানি করে না। ভারত থেকে আমাদের টাকা আসে না কিন্তু যায়।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আপনারা বলছেন, এই মুহূর্তে দরকার জনগণের সরকার। কিন্তু কিছু ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা বলেন, আমার জীবনের জন্য দরকার শেখ হাসিনার সরকার। এখন তো আর কোনো পথ নেই। প্রধানমন্ত্রী যে পদত্যাগ করবে, ক্ষমতা কার কাছে দেবে? ওই লোককে খুঁজে পাচ্ছে না। ক্ষমতা ছেড়ে দেশে থাকতে না পারলে বিদেশে যে যাবে, সেটাই খুঁজে পাচ্ছে না।
সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম প্রমুখ।