

রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) লব্ব্যাতলা-কামারগাঁ সরকারি খালের পাড় ভেঙে সরকারি খাস জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, তালন্দ কলেজপাড়া মহল্লার বাসিন্দা আরজান আলী ও তার পুত্র শরিফুল ইসলাম কৃষকদের বাধা উপেক্ষা করে জোরপুর্বক ট্রাক্টর দিয়ে খাল পাড় ভেঙে সরকারি খাস জমি দখল করেছে। এ ঘটনায় কৃসকদের মাঝে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে খাল পাড় ভেঙে দেয়ায় তালন্দ-লব্ব্যাতলা মাঠে শত শত বিঘা ফসলি জমিতে চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। কৃষকেরা বলছে, একটু ভারী বর্ষণ হলেই খাল পাড়ে মাটি না থাকায় খালের পানি উপচে পড়ে জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়ে বিপুল পরিমান জমির ফসলহানি হবে। কৃষক শফিকুল ইসলাম ও এন্তাজ আলী বলেন, খাল পাড়ের কাছে পানির দাঁড়া ছিল। অথচ তারা বাপ-বেটা খাল পাড় ভেঙে সেই মাটি দিয়ে সরকারি পানির দাঁড়া ভরাট করেছেন। তারা বলেন, খাল পাড় ভেঙে দেয়ায় একটু ভারি বৃষ্টি হলেই খালের পানি উপচে পড়ে বিপুল পরিমাণ জমি পানিতে তলিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, লব্ব্যাতলা-কামারগাঁ খাল পাড়ের প্রায় দুই হাজার বিঘা জমিতে (ভু-উপরিভাগের পানি) সম্পুরুক সেচ সুবিধার জন্য প্রায় ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার খাল পুনঃখনন করা হয়েছে। এতে প্রায় দু”সহস্রাধিক বিঘা ফসলি জমি সম্পুরুক সেচের আওতায় আসবে বাড়বে ফসল উৎপাদন। অন্যদিকে খালে মাছ চাষ, হাঁস পালন করে কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে ও গবাদিপশু গরু-মহিষের গোসল করাতে পারবেন।
সুত্র জানায়, তানোরে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) অর্থায়নে হাতিশাইল-শিবনদী পর্যন্ত দৈর্ঘ্য
প্রায় ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার ও প্রস্ত প্রায় ৩০ মিটার খাল পুনঃখনন করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮৫ লাখ টাকা। এবিষয়ে জানতে চাইলে শরিফুল ইসলাম ও আরজান আলী বলেন, বিএমডিএ’র স্যারদের বলে তিনি খালের পাড় কেটেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, খালের পাড় কাটার কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।