

রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌর এলাকার ময়েনপুর মহল্লায় এক অসহায় আদিবাসীর ভোগদলীয় সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ১২ জুলাই সুজন মুর্মু বাদি হয়ে আক্তারুজ্জামান টুটুলসহ চার জনকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান,ময়েনপুর মহল্লার বাসিন্দা বিএনপি মতাদর্শী তরিকুল ইসলামের পুত্র আক্তারুজ্জামান টুটুল পেশী শক্তির জোরে এসব সম্পত্তি জবরদখল করেছেন। সম্পত্তি ফেরাতে দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সম্পত্তি ফেরাতে পারেনি আদিবাসী যুবক সুজন মুর্মু। অথচ আওয়ামী লীগ সরকার যখন সমতল ভুমির ক্ষুদ্রনৃ-গোষ্ঠীর মানুষকে স্বাবলম্বী করতে গবাদিপশু ও কৃষি উপকরণসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন, তখন প্রকাশ্য লাঠির জোরে আদিবাসীর জমি দখল সরকারের নেয়া কর্মসূচিকেই চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার জেল নম্বর ৭৪, মৌজা ময়েনপুর, খতিয়ান নম্বর ১০১৫,দাগ নম্বর ১৯০৫, হোল্ডিং নম্বর ১০২৯, শ্রেণী ধানী, পরিমান ১৩ শতক। যাহার নাম জারি আবেদন নম্বর ৩৩৬৩৫১৪ তাং ১৪/০৬/২২। নাম জারি মামলা নম্বর ৮২৯৭(ix-)২০২১-২২। ডিসি আর নম্বর ৭০৫৬১/৫/(৪/৮/২২)। পৈতৃক সুত্রে উক্ত সম্পত্তির মালিক ময়েনপুর আদিবাসী পল্লীর বাসিন্দা মৃত ভিম মুর্মুর পুত্র সুজন মুর্মু। সুজন মুর্মু উক্ত সম্পত্তি বন্ধক দিয়েছিলেন ময়েনপুর মহল্লার মৃত তোফাজ্জুলের পুত্র সাহাবুলের কাছে তখানো কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্ত্ত সুজন যখন বন্ধকের টাকা পরিশোধ করে নিজেই চাষাবাদ শুরু করেছে। তখন বিএনপির কর্মী টুটুল উক্ত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি জানান, টুটুল পরিবারের দাপটের কাছে পুরো আদিবাসী পল্লীর বাসিন্দারা জিম্মি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,গত ২ মার্চ আক্তারুজ্জামান টুটুল চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে সুজনের ধানের চারা রোপণকৃত জমিতে মই দিয়ে পুনঃরায় চারা রোপণ করেছে। এসময় সুজন বাধা দিতে গেলে টুটুল চাইনিজ কুড়াল নিয়ে তাকে ধাওয়া করে, প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে সুজন প্রাণে রক্ষা পায়। এবিষয়ে জানতে চাইলে আক্তারুজ্জামান টুটুল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমানের নির্দেশনায় জমি চাষাবাদ করছেন। তিনি বলেন, সুজন জাল করে জমির খারিজ খাজনা করেছেন। এবিষয় সুজন মুর্মু বলেন, জমিতে গেলে তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে টুটুল। এবিষয়ে মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমানের মুঠোফোনে কল করা হলেও কল গ্রহণ না করায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।