বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ পৃথিবী গড়তে জৈব জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতেই হবে। জৈব জ্বালানি গ্রিন হাউস গ্যাস কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাস করতে ভূমিকা রাখে। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ও সুরক্ষিত জ্বালানি ব্যবস্থাপনার ভিত্তিই হবে জৈব জ্বালানি। তাছাড়া জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও এটি কার্যকরী অবদান রাখবে।
শনিবার (২২ জুলাই) ভারতের গোয়াতে জি-২০ উপলক্ষ্যে এনার্জি ট্রানজিশন মিনিস্টারিয়াল মিটিংয়ের সাইড লাইন মিটিংয়ে গ্লোবাল বায়োফুয়েলস অ্যালায়েন্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, এই গ্লোবাল বায়োফুয়েলস অ্যালায়েন্সের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন রয়েছে। সময় স্বল্পতার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা, বেটিং ইত্যাদি কার্যসম্পন্ন না হওয়ায় আজ (শনিবার) স্বাক্ষর করতে না পারলেও আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এ সংগঠনের সঙ্গে থাকব।
তিনি বলেন, আমি আশা করি, এই জোট কাজের পথ সুগম করতে একত্রে একটি ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস তৈরি করবে। বায়োফুয়েলস অ্যালায়েন্সের লক্ষ্য হবে পরিবহন খাতের জন্য টেকসই জৈব জ্বালানির ব্যবহার সহজ করা। তাছাড়া বাজার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, বিশ্বব্যাপী জৈব জ্বালানি বাণিজ্যকে সহজ করা এবং বিশ্বব্যাপী জাতীয় জৈব জ্বালানি কর্মসূচির জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার ব্যবস্থাও করবে বায়োফুয়েলস অ্যালায়েন্স।
অনুষ্ঠানে ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক মন্ত্রী হারদীপ সিং পুরি, ব্রাজিলের খনি ও জ্বালানি মন্ত্রী আলেকজান্দ্রে সিলভেরা ডি অলিভেরা, ইতালির পরিবেশ ও জ্বালানি নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী গিল্বার্টু পিচেট্টু ফ্রাতিন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানি ও অবকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রী সোহাইল মোহামেদ আল মাঝরোইসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা বক্তব্য রাখেন।