

আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ আব্দুর রাজ্জাক রুবেল। পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। অবসর সময়কে কি ভাবে কাজে লাগানো যায় এবং বাড়ির পাশে সুপারী বাগানে বাড়তি কোনো ফসল ফলানো যায় কি না তা নিয়ে ভাবতে থাকেন। পরামর্শ নেয় স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও ইউটিউবের। অবশেষে সুপারী বাগানের গাছের ফাঁকে ফাঁকে ৪০ শতক জমিতে বস্তায় আদা চাষের সিদ্ধান্ত নেয়। আব্দুর রাজ্জাক রুবেল লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা ডাকালীবান্ধা আলহাজ্ব সমসের উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
আব্দুর রাজ্জাক রুবেল জানান, প্রথমে বেলে দোআশ মাটি সংগ্রহ করে সেই মাটি ব্লিসিং পাউডার ও ডলোচুন দিয়ে পরিস্কার করে নেয়া হয়। তারপর কিছু দিন ফেলে রেখে সেই মাটির সাথে গোবর, কাঠের গুড়া ও রাসানয়িক সার মিশ্রয় করে ১০-১২ দিন রাখা হয়। এর পর বস্তায় মাটি ভর্তি করে সুপারী গাছের ফাঁকে ফাঁকে রেখে আদার বীজ রোপন করা হয়। ৪০ শত জমিতে প্রায় ৫ হাজার ৫ শত বস্তায় আদা চাষাবাদ করছেন।
আব্দুর রাজ্জাক রুবেলের দাবী, সব মিলে প্রতি বস্তায় খরচ হবে প্রায় ৪০ টাকা। প্রতি বস্তায় ৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত আদার ফলন হতে পারে। এতে মোট ২ লক্ষ টাকা খরচের বিপরীতে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা আয় হবে এমন দাবী আব্দুর রাজ্জাক রুবেলের।
হাতীবান্ধা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব আলম জানান, আদা একটি লাভজনক চাষাবাদ। সঠিক পরিকল্পনায় চাষাবাদ করলে ২ থেকে ৩ গুন লাভ হতে পারে। পাশাপাশি ছায়া জমি যে জমিতে অন্য ফসল হয় না সেই জমিতেও আদা চাষ করা সম্ভব।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়া জানান, অনেকেই এখন বানিজ্যিক ভাবে আদা চাষ করছে। তাদের মধ্যে স্কুল শিক্ষক রুবেল মিয়া একজন। আশা রাখছি তিনি শতভাগ সফল ও লাভবান হবেন।