তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার, সাব ডিলার ও অবৈধ খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যে সার নিয়ে ত্রিমূখী দন্দের অভিযোগের উঠেছে। তারা সার বিপণন নীতিমালা লঙ্ঘন এবং একে অপরকে দোষারোপ করে সার নিয়ে ইঁদুর-বেড়াল খেলা করছে।
এতে সার নিয়ে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা কৃষকের হচ্ছে দুর্ভোগ। অভিজ্ঞ মহলের অভিমত এখোনি এদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে আলু ও বোরো মৌসুমে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। যার প্রভাব পড়তে পারে সাধারণ নির্বাচনে। তানোর পৌরসভার বিসিআইসি ডিলার মেসার্স মোল্লা টেড্রার্সের পয়েন্ট কাশিম বাজার। অথচ তিনি ব্যবসা করছেন তালন্দ বাজার।যা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত কৃষকদের মধ্যে বিরাজ করছে অসন্তোষ। কিন্ত্ত কৃষি বিভাগ নিরব মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে।
এদিকে এই বিষয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে, সাব ডিলারদের অভিযোগ বিসিআইসি ডিলারেরা তাদের কাছে সঠিক সময়ে সার না দিয়ে বাইরে বিক্রি করে দেয়। তবে বিসিআইসি ডিলারদের অভিযোগ, সাব ডিলারদের অর্থ সঙ্কট রয়েছে বাঁকিতে সার না দিলে তারা সার নিতে চাই না। অপরদিকে খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ডিলার ও সাব-ডিলারেরা কৃষকদের জিম্মি করে সার বিক্রি করতে চাই। তাই তারা সাধারণ কৃষকদের অনুরোধে বিভিন্ন কৌশলে সার সংগ্রহ করে কৃষকের কাছে বিক্রি করছেন। সচেতন মহলের ভাষ্য,কৃষি বিভাগের একশ্রেণীর দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে, অবৈধ খুচরা সার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, উল্টো অবৈধ ব্যবসায় নানাভাবে সহযোগীতা করছে। নিয়মানুযায়ী বিসিআইসি ডিলার ও সাব ডিলার ব্যতিত ইউরিয়া সার বিক্রি করা যাবে না। অথচ কালীগঞ্জ বাজারের মেমার্স মিজান টেড্রার্স ও সরনজাই বাজারের মেসার্স রাজিয়া টেড্রার্স ডিলার বা সাব-ডিলার না হয়েও দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ সার ব্যবসা করছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে (ইউপি)একজন ও পৌরসভায় একজন করে বিসিআইসি ডিলার ও প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে সাব ডিলার রয়েছে। সার বিপণন নীতিমালা অনুযায়ী এক ডিলার অন্য ডিলারের এলাকায় সার বিক্রি করতে পারবে না। সার কৃষকের দোরগোড়ায় পৌচ্ছে দেয়ার উদ্দেশ্যে
বিসিআইসি ডিলারের পাশাপাশি খুচরা সার বিক্রির জন্য সাব ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্ত্ত ডিলার, সাবডিলার ও সাধারণ ব্যবসায়ী কেউ কোনো নিয়ম মানছেন না। কোনটা সরকারি বরাদ্দের, কোনটা বাইরের সার তা কেউ বুঝতে পারছে না। কৃষকদের প্রশ্ন ডিলারেরা যদি অবৈধভাবে এক এলাকার সার অন্য এলাকায় দেন, তাহলে এলাকাভিত্তিক ডিলার নিয়োগের প্রয়োজন কি ? আবার সাধারণ ব্যবসায়ীরা যদি সার বিক্রি করতে পারেন, তাহলে বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে ডিলারসীপ নেয়ার প্রয়োজন কি আছে?
অধিকাংশক্ষেত্রে তেমন কোনো জবাবদিহিতা না থাকায়
অবৈধ ব্যবসায়ীরা ক্রয় রশিদ ব্যতিত মান্দার দেলুয়াবাড়ী-সাবাইহাট, মোহনপুরের কেশরহাট-ধুরইল ইত্যাদি এলাকা থেকে নিম্নমানের ভেজাল সার কম দামে এনে বেশী দামে বিক্রি করে কৃষকের পকেট কাটছে। কারণ সার আসল-নকল, ভেজাল না নিম্নমাণের সেটা বোঝার ক্ষমতা নাই সাধারণ কৃষকের। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোনে কল গ্রহণ না করায় উপজেলার বিসিআইসি সার ডিলার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বাবুর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।