

একে মিলন সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভপুর উপজেলা ফতেহপুর ইউনিয়ন এর প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ মুরারী চাঁদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের জোর করে নিয়ে মানববন্ধন করানোর অভিযোগ উঠেছে অত্র বিদ্যালয় এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পবিত্র ভূষণ তালুকদার এর বিরুদ্ধে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর
দুপুরে বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের ব্যানারে মানববন্ধন করান। বিদ্যালয়ের ২০ থেকে ৩০জন ছাত্র ছাত্রীকে নিয়ে জোর করে মানববন্ধনে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়।
বিদ্যালয়ের ৮ শ্রেণির ছাত্রী জানায়, একজন বহিরাগত লোক তাদের জোর করে ডেকে নিয়ে যান মানববন্ধন করার জন্য।
৭ শ্রেণির ছাত্রী জানায়, তাদের দিয়ে জোর করে স্কুলের সামনে মানববন্ধন করানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিবাবক জানান, তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে দিয়েছেন পড়াশোনার জন্য। কিন্তু বহিরাগত লোকজন তাদের দিয়ে জোর করে মানববন্ধন করিয়েছেন। তিনি বলেন, এখানে তারা আমাদের সন্তানদের নিয়ে গিয়ে ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারে মানববন্ধন করিয়েছেন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পবিত্র ভূষণ তালুকদার মানববন্ধন এর সম্পর্কে জানতেন না বলে জানান।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হেকিম বলেন, ১৯৩৭ সালে স্বর্গীয় মনিন্দ্র কুমার রায় তার পিতার নামে মুরারী চাঁদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। অবহেলিত হাওর অঞ্চলের শিক্ষার বাতিঘর নামে খ্যাত প্রাচীনতম এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুনাম ক্ষুন্ন করতে ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পবিত্র ভূষণ তালুকদারের অনিয়ম- দূর্নীতি আড়াল করতে মানব বন্ধনের নামে বিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালায় এবং জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করা হয় ও শিক্ষকদের একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।প্রশাসনিক দুইটি পদ সহ সাতটি শুন্য পদে নিয়োগ না দিয়ে এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে যৌথ একাউন্ট এর মাধ্যমে যে আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা ছিল সেসবের তোয়াক্কা না করে তিনি তার খেয়াল খুশি মত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এলাকাবাসী মনে করে ক্ষমতা ধরে রাখতে তিনি মানববন্ধন এর নামে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করতে চাইছেন। যারা শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক মানববন্ধনে যেতে বাধ্য করেছে এবং বিদ্যালয় শিক্ষকদের তালাবদ্ধ করেছে এলাকাবাসী তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,আমি
এ ঘটনা জানি জানার সাথে সাথেই উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিশ্বম্ভপুর ওসি,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক,স্থানীয় আ.লীগ সহ এলাকার স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ বসে মিমাংসা করেছি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পবিত্র ভূষণ তালুকদার একমাসের সময় চেয়েছেন। তারপর তিনি সরে যাবেন। শিক্ষার্থীদের জোর করে নিয়ে মানববন্ধন এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি যারা করেছে তাঁরা ভুল করেছে।