• আজ ৩রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তানোর আওয়ামী লীগে কুটুম আতঙ্ক ?

| নিউজ রুম এডিটর ৬:৫৯ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩ আওয়ামী লীগ, রাজনীতি
আলিফ হোসেন, তানোরঃ রাজশাহীর তানোরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একশ্রেণীর অনুপ্রবেশকারী হঠাৎ আওয়ামী লীগ (কুটুম) নেতা ও  তাদের চ্যালা-চামুন্ড্যাদের
বির্তকিত কর্মকান্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং নেতা ও কর্মীসমর্থকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। কদিন আগেও এমপির পক্ষে থাকার জন্য যারা গণমাধ্যম কর্মী ও দলের নেতাদের লাঞ্চিত করেছিল। এখন আবার তারাই আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করছে, পদপদবী বাগিয়ে নিচ্ছে। এর চাইতে দুঃখ-কষ্টের কি থাকতে পারে।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ, ত্যাগী, পরীক্ষিত নিবেদিতপ্রাণ নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের কাছে এখন মূর্তিমান আতঙ্ক এসব কুটুম। এমনকি পান থেকে চুন খসলেই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এসব কুটুমেরা এমপির কানভারী করছে। ফলে কুটুম আতঙ্কে পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা মাঠে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারছে না।
জানা গেছে, অধিকাংশক্ষেত্রে এসব কুটুমেরা কখানো আওয়ামী লীগ করেনি তাদের রাজনৈতিক জীবনটাই পালাবদলের। তারা আগে যেই ডালে ছিল আগামিতেও সেই ডালেই বসবে, মাঝ খানে শুধু আওয়ামী লীগকে আখ মাড়াই করে খেতে বসেছে বলে মনে করছে তৃণমুল।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় সাংসদ এবং উপজেলা চেয়ারম্যানসহ দলের আদর্শিক নেতারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে না জড়ালেও, তাদের ব্যক্তি ইমেজ ও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের বারোটা বাজাচ্ছে এসব জনবিচ্ছিন্ন  কুটুম। যাদের রাজনৈতিক জীবনটাই পালাবদলের বা কখনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। আবার অনুপ্রবেশকারী এসব  কুটুমদের সরকারি খাস পুকুর, গভীর নলকুপ অপারেটর, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, নিয়োগ দেখভাল ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তদারকির দায়িত্ব দেয়া হলেও দলের পরীক্ষিত প্রবীণ ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের এসব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ এক সময় যারা বিএনপি-জামায়াতের অর্থের যোগানদাতা ছিলো তাদের অনেকে এখন রাতারাতি আওয়ামী লীগ হয়ে উঠেছে। বাগিয়ে নিয়েছে সাংগঠনিক পদপদবী। আওয়ামী লীগের  একশ্রেণীর নেতাদের বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে এসব পরিবারের সন্তানেরা চাকরি-ঠিকাদারী বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাগিয়ে নিয়েছে।
অথচ অধিকাংশ কুটুম দিনে আওয়ামী লীগ ও রাঁতের আঁধারে আওয়ামী লীগের চাদর গায়ে দিয়ে জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা রক্ষা করছে।
আওয়ামী লীগের আদর্শিক নেতাকর্মীরা এসব কুটুমদের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে দলের হাইকমান্ডকে অবগত করেছেন বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়,আগামি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অন্তিম মুহুর্তে হঠাৎ করে রাতারাতি এসব কুটুমদের ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব ঘটেছে।  নবাগত এক নেতার নেপথ্যে মদদে এসব কুটুমরা প্রশাসনে প্রভাব বিস্তার, টেন্ডারবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার এমনকি সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীদের  সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে। আবার বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উন্নয়ন প্রকল্প কমিটির প্রধানসহ সর্বক্ষেত্রে কুটুমদের জয়জয়কার হলেও, বঞ্চিত রয়েছেন দলের ত্যাগী, প্রবীণ ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সরাসরি এসব কুটুমদের কিছু বলতে পারছেন না, শেষে শাস্তিমুলক বদলি না হয় এই ভয়ে এরাও এসব কুটুমদের কাছে অসহায় বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।