সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,পশ্চিম মির্জাপুর দ্বি মুখি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসাটি নিয়মিত পাঠদান যেমন হয় না ঠিক তেমনি নিয়মিত ও সঠিক সময়ে মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীরা মাদ্রাসায় উপস্থিত হন না। একারনে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার ক্লাসে নিয়মিত হতে পারে না। মাদ্রাসাটিতে গিয়ে দেখা যায় , মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ মোট ২৯ জন শিক্ষক কর্মচারীর কথা জানা গেলেও মাদ্রাসায় সকলকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি। এমন কি গত ৮ অক্টোবর হতে আলিম শাখার ক্লাস শুরু হলেও এ মাদ্রাসাটিতে আলিম শাখার ক্লাস শুরু করা প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। উপস্থিত শিক্ষক কর্মচারীরা জানান, অধ্যক্ষ অফিসের কাজে গেছে তার সঙ্গে দুজন শিক্ষক রয়েছে। আর অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীরা আলিম শাখার নতুন ক্লাস শুরু অনুষ্ঠানের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মাদ্রাসায় এ মূহুর্তে উপস্থিত নাই। এছাড়াও অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারি মাদ্রাসায় না থাকায় মোট শিক্ষার্থীর পরিমান জানা যায়নি। তবে ১০ অক্টোবর ২০২৩ ইং রোজ মঙ্গলবার দুপুরে ৬ষ্ট শ্রেনীর ক্লাস কক্ষে ১১ জন ,৭ম শ্রেনীর ৪ জন , অষ্টম শ্রেনীতে ১০ জন,নবম শ্রেনীতে ১৪ জন শিক্ষার্থী পাওয়া গেলেও দাখিল, আলিম ও ফাজিল শাখার কোন শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানায় বেলা ১ টা পর্যন্ত মাদ্রাসটিতে মাত্র ১ টি ক্লাসে নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষক ও কর্মচারী সঠিক সময়ে মাদ্রাসায় না আসায় ও সঠিক ভবে ক্লাস না হওয়ায় বিষয়ে জানতে মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ জাহেদুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইলে কল দিলে তিনি জানান, অসুস্থ্য থাকায় এ মুহুর্তে তিনি বাড়ীতে আছেন অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীরা মাদ্রাসায় আছেন। তারা সঠিক ভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন এবং ক্লাসে নিয়মিত পাঠদান চলমান আছে বলে দাবী করেন তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমকি শিক্ষা অফিসার নাকিবুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তার ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এমন কি উপজেলা পরিষদের অফিসে গিয়ে তার কোন দেখা না পাওয়ায় বা কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার পশ্চিম মির্জাপুর দ্বি মূখি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসাসহ অন্যান্য মাদ্রাসা গুলোতে শিক্ষক কর্মচারীদের দায়িত্বহীনতায় ও উদাসীনতায় নিয়মিত পাঠদান হচ্ছে না। দাখিল ও ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীদের ইচ্ছা মতো পরিচালিত হচ্ছে এই মাদ্রাসা গুলো।