

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির জন্য আর স্পেস নাই। দলটির নেতারাই সেই সুযোগ নষ্ট করেছেন। তারা শেষ কথা বলে দিয়েছে। আহ্বান করার জায়গা রাখে নাই।
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে জোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন,
নির্বাচন যারা করবেন; তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। জোটের মধ্যে যদি কোনো আসন ভাগাভাগির বিষয় থাকে, সেটার এখনো সময় আছে। আগে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হোক। এখানে বিভ্রান্তির কিছু নেই। যারা নির্বাচনে জিততে পারবেন না, তাদের আমরা কেন মনোনয়ন দিবো। যাকে টেনে তোলা যাবে না, ক্রেন দিয়ে তোলা যাবে না, এরকম প্রার্থীকে আমরা কেন দিতে যাবো। সেখানে বিভ্রান্তি হয়েছে-কিনা আমরা জানি না।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না এটা তাদের বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ শতাধিক পর্যবেক্ষকের নাম নির্বাচন কমিশনে চলে এসেছে। নির্বাচন নিয়ে যত বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছিল, অনেকে ভেবেছিলেন বিদেশি পর্যবেক্ষক আসবেন না। তারা আসছেন।
জাতীয় পাটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ নির্বাচন না করলেও তার দল নির্বাচন করছে। ব্যক্তিগতভাবে বা শারীরিক কারণে হতে পারে, নির্বাচনে আসছেন না তিনি। নির্বাচন যারা করবেন, তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। জোটের আসন ভাগাভাগির বিষয়ে এখনো সময় আছে। ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। এরমধ্যে আলোচনা করে, আসন ভাগাভাগির বিষয়ে কথা বলা যাবে। জোট তো আমরা ভেঙে দেয়নি, জোট আছে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় নির্বাচনে কী চমক আছে- এর আগে আপনি বলেছিলেন। এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন,
দেখতে হলে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দল এসেছে নির্বাচনে-এগুলো চমক। বিএনপির তৃণমূল আসছে নির্বাচনে, এগুলো তো চমক। আগামী নির্বাচন একটি ভালো নির্বাচন হবে। ভোটারবিহীন নির্বাচন বলার সুযোগ নেই। উন্নত দেশের নির্বাচনের চেয়ে কোনো অংশে কম হবে না। বিএনএম তো আওয়ামী লীগ না। আওয়ামী লীগের মধ্যে নির্বাচন হবে, এমন না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নির্বাচন সুষ্ঠু চায়, আমরাও চাই।
বিদ্রোহী প্রার্থী আর স্বতন্ত্র প্রার্থী এক না-এ কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হবে, কে বিদ্রোহী আর কে স্বতন্ত্র। জোটের মধ্যে ক্ষোভ নাই। অনেকেই মনোনয়ন কিনেছেন। জয়ী হওয়ার মতো যোগ্য প্রার্থী হলে বিবেচনা করা হবে।
কাদের বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রাষ্ট্রদূত হিসেবে চলাফেরা ও কার্যক্রম এবং বিধিনিষেধের নিয়ম মেনে চলবেন, এমনটা আশা করি। কোনো দলের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেবেন না বলে মনে করি। যারা নির্বাচন হতে দেবে না বলে হুমকি ধামকি দিচ্ছে, তাদের পক্ষে থাকবেন না।
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলটির যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী কোন গুহা থেকে বের হন। মিছিল করেন, এগুলো করে কিছু হবে না। নির্বাচন হয়ে যাবে। ভালো একটা নির্বাচন হবে। বিএনপি শেষ কথা বলে দিয়েছে। আহ্বান করার জায়গা রাখে নাই। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির জন্য আর স্পেস নাই। দলটির নেতারাই সেই সুযোগ নষ্ট করেছেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনের আচরণ বিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপিসহ সমমনাদের ডাকা হরতাল-অবরোধ অগ্নিসংযোগের আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেয়নি। যত চেষ্টাই করুক সব বৃথা চেষ্টা। সুন্দর অবাধ একটি নির্বাচন হবে বলেও জানান তিনি।