

একে মিলন সুনামগঞ্জ থেকে : শান্তিগঞ্জ উপজেলা দরগাপাশা ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম কুটিকে হত্যার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ৯ ডিসেম্বর দুপুরে পৌর শহরের সুনামগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাব কার্যালয়ে নিহতের স্ত্রী আয়েশা বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৩ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৩০ মিনিটে মো: দেলোয়ার হোসেন পিতা গেদা মিয়া গ্রাম বড়ুম পুর, সে আমার স্বামীকে মোবাইল ফোনে বার বার ফোন করে ডাবর পয়েন্টে যাওয়ার জন্য বলে। রাত ৯টা থেকে ১০টার ভিতরে বাড়ি থেকে নিজ মোটর সাইকেল নিয়ে বের হন। হঠাৎ ১০টা ৩০ মিনিটের মধ্যে আমার স্বামী ফরিদুল ইসলাম কুটির নাম্বার থেকে আমাদের বাসার নাম্বারে অজ্ঞাত নামা একজন জানান, আমার স্বামী র লাশ ডাবর পয়েন্টে পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ১০/১২ জন ডাবর পয়েন্ট যাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার স্বামী ফরিদুল ইসলাম কুটির মোটরসাইকেলটি ষ্টেন করা এবং লাশ রাস্তার পাশে পড়ে আছে। সাথে সাথে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে নিয়ে যাই তখন ডাক্তার সিলেটে নিয়ে যাওয়ার কথা বলিলে আমরা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। পরে পোষ্টমেটাম শেষে নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন করি। পরের দিনই শান্তিগঞ্জ থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় পুলিশ কোন ধরনের সহয়তা করেন নি। এই হত্যার সাথে অজ্ঞাতনামা আসামি জড়িত রয়েছে। সঠিক তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসবে।
আমার স্বামী কুটিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা। তাই হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার এবং সঠিক তদন্তের দাবীতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন তাঁর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ
মো: খালেদ চৌধুরী মামলার এজাহারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দুই মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাটি ঘটে।
থানায় দুটি মোটরসাইকেল জব্দ রাখা হয়েছে।