ভারতে হঠাৎ করেই আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। দেশটিতে অন্তত ২৩ জনের দেহে শনাক্ত করা হয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘জেএন.১’। গোয়া, কেরালাসহ দেশটির কয়েকটি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
নতুন এ সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেবিষয়ে বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ছবি: সংগৃহীত
নতুন এ সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেবিষয়ে বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনার নতুন এ ধরনের মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও নড়েচড়ে বসেছে ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগ। জেএন-ওয়ান নামের করোনার এ ভ্যারিয়েন্টে এখন পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়নি। যদিও ল্যাবে পরীক্ষার পর নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিষয়ে বিস্তারিত আরো তথ্য প্রকাশের কথা জানিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগ।
নতুন এ সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেবিষয়ে বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে যে রাজ্যগুলোতে নতুন এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সেই রাজ্যগুলোতে বাড়তি সতর্কতা ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া দেশের কিছু অংশে ক্রমবর্ধমান কোভিড মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের নতুন ও উদীয়মান উপধরনের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা এবং প্রস্তুত থাকা গুরুত্বপূর্ণ।’
যা বলল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
শুধু ভারতই নয়, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং চীনসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নতুন এ ধরন। সংক্রমণ রোধে ভ্যাকসিন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ওপর আবারও জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিবিসি জানায়, জেন.১ সংক্রমণ খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়তে থাকায় এই উপধরনকে আলাদাভাবে ‘ভ্যারিয়্যান্ট অফ ইন্টারেস্ট’ (ভিওআই) শ্রেণিভুক্ত করেছে ডব্লিউএইচও।
সংস্থাটি বলছে, আপাতত এই উপধরনটি জনস্বাস্থ্যের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ বলেই প্রমাণ পাওয়া গেছে। আগের উপধরনের চেয়ে এটি বেশি ক্ষতিকারকও নয়।
অন্তত দুইজন বিশেষজ্ঞ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, জেএন.১ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়িয়ে গিয়ে অন্যান্য উপধরনগুলোর তুলনায় অনেক সহজেই সংক্রমণ ঘটাতে পারলেও এতে রোগ গুরুতর হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
কোভিড প্রতিরোধে বর্তমানে যেসব টিকা চালু আছে সেটি দিয়েই এই উপধরনের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা মিলবে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।