

৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ রোজ সোমবার বাংলা ২৫ শে চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ অমাবস্যায় বাংলাদেশ সময় রাত ৮:৪২মিঃ এ ঘটবে এক বিরল সূর্যগ্রহণ শেষ হবে রাত ১:৫২মিঃ এটি একটি পূর্ণ-গ্রাস সূর্যগ্রহণ যা জ্যোতিষ বিজ্ঞান মতে শতাব্দীর ইউনিক সূর্যগ্রহণ।
এই গ্রহণ উত্তর আমেরিকার আলাস্কা ব্যতীত মধ্য আমেরিকা মেক্সিকো কানাডা হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ গ্রীনল্যান্ড আইসল্যান্ড আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তর ও প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণভাগ সহ পৃথিবীর দক্ষিণ পশ্চিমভাগে গ্রহণটি দেখা যাবে, এছাড়াও ইউরোপের কয়েকটি দেশ সহ পৃথিবীর দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলীয় আরো কিছু দেশে সূর্যগ্রহণটি আংশিক দেখা যাবে।
যেসকল অঞ্চলে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দৃশ্যমান হবে ওই সকল অঞ্চলে দিনের বেলায় কয়েক মিনিটের জন্য রাতের মতই অন্ধকার নেমে আসবে! ওই সকল এলাকায় গ্রহণ শুরু হওয়ার ৮ ঘণ্টা আগে শুরু হবে এর সুতোক কাল। যখন সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী একই সরলরেখায় চলে আসে আর তখনি সংঘটিত হয় এই মহাজগতিক ঘটনা। এই গ্রহণ চলাকালীন সময়ে ৪ মিঃ ২৯ সেঃ পর্যন্ত চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দেবে যার ফলে গোটা পৃথিবী রাতের মতই অন্ধকার হয়ে যাবে!এই গ্রহণ চলাকালে এশিয়ার বৃহৎ অঞ্চল সহ সময়ের হিসেবে বাংলাদেশ চীন ভারত পাকিস্তানে তখন থাকবে রাত তাই এসকল অঞ্চলে এর কোন সুতোক কাল নেই, এই গ্রহণটি স্থিতি থাকবে মোট পাঁচ ঘন্টা দশ মিনিট পর্যন্ত।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে প্রতিটি গ্রহণেই জীববৈচিত্র্য ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হয়, আগামী ৮ ই এপ্রিলের ওইদিনের বিরল এই সূর্যগ্রহণ জ্যোতির্বিজ্ঞানী/ জ্যোতিষ গবেষকদের মনে কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে কেননা এই বিরল সূর্যগ্রহণ একবিংশ শতাব্দীতে এমন ভাবে আর ঘটবে না। জ্যোতিষ বিজ্ঞানে এমন গ্রহণের ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে।
গ্রহণকালে ও তার পরবর্তীতে সৌরজগতে ঘটবে অগণিত নাক্ষত্রিক বিস্ফোরণ! এই গ্রহণ পরবর্তী কালে ঘটবে বিশ্ব রাজনৈতিক বিশ্ব অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক নানাবিধ দুর্যোগ! যেমন স্মরণকালের ভয়াবহ সিরিজ ভূমিকম্প যা গত বহু শতাব্দীতে পৃথিবীবাসী দেখেনি, ইউরোপ আমেরিকা অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল ছড়িয়ে পড়বে, আসন্ন ওই সকল ভূমিকম্পের ফলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সহ পৃথিবীর বহু দেশে সুনামি দেখা দেবে। ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে পৃথিবীতে কয়টি নতুন হৃদ এবং নদনদীর সৃষ্টি হতে পারে, ভূগর্ভে হারিয়ে যাবে পৃথিবীর বহু স্থাপনা। পৃথিবীময় রাসায়নিক অস্ত্র এটোমিক বোমা ব্যবহারের ফলে- প্রাকৃতিক দূষণে মৎস্য সম্পদ দুই তৃতীয় অংশ কমে যাবে, প্রাণিজগতের বহু প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে, চলতি বৎসর সহ আগামী কয়েক বৎসরে দক্ষিণ এশিয়ার বহু দেশ সুপার সাইক্লনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত, ভূমিকম্প ভূমিধস অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে প্রিয় মাতৃভূমির খুলনা বরিশাল চট্টগ্রাম বিভাগ সহ বাংলাদেশের ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। রিক্টার স্কেলে ৮ + মাত্রার ভূমিকম্পে দুলতে পারে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা! এমনটি হলে ঢাকা শহরের আশি শতাংশ স্থাপনা ধ্বংস হবে- যার ক্ষতির পরিমাণ কল্পনার অতীত। অনাবৃষ্টি ও তাপদাহে মানুষ সহ সমগ্র প্রাণীকুল দিশেহারা হয়ে পড়বে এবং তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। অতি বৃষ্টিতে ঘটবে পাহাড় ধস, পৃথিবীর বহু দেশের শস্য বীজ ধ্বংস হয়ে যাবে! সুপেও পানির অভাব দেখা দেবে।
এছাড়াও পৃথিবীর অন্যান্য দেশে খাদ্য উৎপাদন অর্ধেকের নিচে নেমে আসবে, বিশ্বব্যাপী খাদ্যমূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে। নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদির মূল্য আকাশচুমি হবে। বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক অস্থিরতা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করবে, আগামী কয়েক বৎসরের মধ্যে পৃথিবীর সকল সুপার পাওয়ার সমৃদ্ধ সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো একে অপরের সঙ্গে প্রকাশ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।
যেমন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ফ্রান্স যুক্তরাজ্য ভারত পাকিস্তান চীন ইজরাইল উত্তর কোরিয়া ইরান সহ ইউরোপের শক্তিধর আরো কয়েকটি দেশ এছাড়াও তুরস্ক সহ মিডেলিস্টের আরো কয়েটি দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে! কয়েকটি রাষ্ট্র ভেঙে বিশ্ব মানচিত্রে আরও রাষ্ট্রের জন্ম হবে।
বিশ্ব রাজনীতিতে আগামী সাত বৎসর ব্যাপক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাবে তার ভিতরে বেশ কয়েকটি শক্তিধর রাষ্ট্রের ক্ষমতার পালাবদল হবে। কাকতালীয়ভাবে এশিয়া মহাদেশে রাজনৈতিক প্রভাবশালী একাধিক নতুন নেতৃত্ব দেখা যেতে পারে।
অবশ্য আমার বিগত দিনের প্রেডিকশনগুলোতে আমি বলে আসছি বিশ্ব রাজনৈতিক এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক বিষয়ে এছাড়াও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরো আগেই শুরু হয়েছে যা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে রূপ নেবে। এর ফলে রাসায়নিক অস্ত্র সহ এটমিক বোমার ব্যবহার শুরু হবে। পৃথিবীর বহু নামিদামি আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে যাবে গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক তথা ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। আগামী বৎসর গুলোতে পৃথিবীর বহু রাষ্ট্র নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করবে। আন্তর্জাতিক বহু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে,পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে গোলাবারুদের গন্ধে আকাশ ভারী হয়ে যাবে,সামাজিক ব্যাধি রাহাজানি ধর্ষণ লুণ্ঠন হত্যার মত অপরাধ বেড়ে যাবে, পৃথিবীর দুই তৃতীয়াংশ মানুষ কর্ম হারাবে! এহেন মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বদলে যাবে বিশ্ব জলবায়ু ব্যবস্থা! এক কথায় পৃথিবীর প্রাকৃতিক রূপরেখা বিবর্তিত হয়ে বদলে যেতে পারে মনুষ্য সভ্যত।
লেখক:
এ্যাস্ট্রোলোজার ছালাম শিকদার