

মোঃরফিকুল ইসলাম মিঠু ঢাকা: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন ধরনের ধারণা রয়েছে। অনেকের মতে রাজউক হচ্ছে একটি প্যারার জায়গা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন এ কাগজ নেই ও কাগজ নেই বলে দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে। সরেজমিনে রাজউকের উত্তরা অফিসে গিয়ে অনেকের সাথে কথা বলে দেখা যায় নিয়ম বহির্ভূত সকলেই দুই এক মাসের মধ্যেই ভবন নির্মাণের অনুমতি পাচ্ছেন। শর্তানুযায়ী যাদের কাগজপত্রের অভাব থাকে তারাই দীর্ঘদিন ঘোরাঘুরি করেন।
এছাড়াও জনবলের অভাব, কর্মকর্তাদের ট্রেনিং জনিত কারনে কিছু সমস্যা পোহাতে হয়। সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এই বিভাগকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময় নানা রকমের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই আলোচনা সমালোচনা থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকার ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত একজন মেজর জেনারেলকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক এই বিভাগের দায়িত্ব প্রদান করেন।
সকলেই মনে করছেন টুকিটাকি যে সমস্যাগুলো রয়েছে এর অবসান ঘটবে। মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার ১৯৬৩ সালের ১০ ই আগস্ট নরসিংদী জেলা জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২২শে জানুয়ারি ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে যোগদান করেন। ২৩ ডিসেম্বর ১৯৮৩ সালে মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে একজন প্রকৌশলী হিসাবে কমিশন লাভ করেন।তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংএ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ভারতের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মময় জীবনে মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজির কমান্ডার এবং সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজির কমান্ড্যান্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
সর্বশেষে তিনি বাংলাদেশ বিমানের পরিচালক পদে ও কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি রাজউকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।