• আজ ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 আজ বিশ্ব বাবা দিবস | দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে পাথর শ্রমিকদের বিক্ষোভ | ছেলের ফোন বেজেই চলেছে!  এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের কেবিন ক্রু দীপকের মা | প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক চলছে | চিকিৎসক দম্পতি ও তিন শিশু সন্তান বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তে তোলা সেলফি | আওয়ামী লীগের ভুল ছিল, আজকের অবস্থা ভুলেরই শাস্তি: আব্দুল হামিদ | বিধ্বস্ত বিমানে বেঁচে আছেন একজন, জানালেন কী ঘটেছিল! | লন্ডনে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সম্পত্তি জব্দ, যা বললেন সাংবাদিক জুলকারনাইন | প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতের অনুরোধে সাড়া দিলেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী | নারায়ণগঞ্জে মধ্যরাতে যৌথবাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ২ |

দামের উত্তাপে পুড়ছে রাজধানীর বাজার!

| নিউজ রুম এডিটর ৪:৩০ অপরাহ্ণ | মে ১৩, ২০২৪ বাণিজ্য, লিড নিউজ

কোরবানির ঈদের বাকি এক মাসের কিছু বেশি সময়। রোজার ঈদের আগে যেভাবে পণ্যের দাম বেড়েছিল, বর্তমানে ঠিক একই পরিস্থিতি চলছে বাজারে। চড়া দরে বিক্রি হচ্ছে সবজি, ডিম, মুরগি, মাছসহ গরু-খাসির মাংস।

রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে প্রতিদিনই দাম বাড়ছে কোনো না কোনো পণ্যের। এতে স্বস্তি নেই ক্রেতার মনে। তাদের দাবি, নিজেদের ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে দেখার নেই কেউ। রমজানের ঈদ পাড় হয়ে কোরবানির ঈদ সমাগত। কিন্তু বাজার পরিস্থিতি বদলায়নি বিন্দুমাত্র।

বাজারের অধিকাংশ সবজিই এখন ক্রেতার নাগালের বাহিরে। বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বগুড়ার ১৫ টাকা কেজির পেঁপে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এসে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে। আর শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা ও কফি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা জানান, তীব্র গরমে ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে সবজি। পাশাপাশি সেচ বাবদ বেড়েছে উৎপাদন খরচ। এর প্রভাবে বাড়ছে দাম।

এক সপ্তাহ আগেও এক ডজন লাল ডিমের দাম ছিল ১২০ টাকা, অথচ সরবরাহ কমের অজুহাতে এখন তা ঠেকেছে ১৫০ টাকায়। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় ভোক্তারা বলছেন, রাত পাহলেই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। এতে আয় ব্যয়ের হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

বাজারে মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, আর সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অস্থিরতা থামছে না মুরগির বাজারেও। গরমে মুরগি লালন-পালন ব্যাহত হওয়ার অজুহাত থেকে মুক্তি মিলছে না ক্রেতাদের। বাজারে ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, সোনালি ৩৮০ টাকা আর দেশি জাতের জন্য গুনতে হবে ৭০০ টাকা।

আরও পড়ুন: ‘ভালো কইরা ছবি তোলেন, ওগো দাম বাইড়া গেছে’

সবজিসহ ডিম-মুরগি বাজারের দামের উত্তাপ গ্রাস করেছে মাছ বাজারও। তিন দিনের ব্যবধানে তেলাপিয়া মাছ কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। আমদানি জাতের বোয়ালের জন্য গুনতে হবে ৬০০ টাকা। হাইব্রিড কই আর রুই- কাতল বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩৫০ টাকার মধ্যে।

বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর বৃষ্টি কম হয়েছে। আর গরমের কারণে মাছ কম ধরা পড়ছে। এতে কমছে না মাছের দাম।

বাজারে যে যেভাবে পারছে পণ্যের দাম সেভাবে বাড়িয়ে বিক্রি করছে, এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। তাই তদারকি প্রতিষ্ঠানের জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান তাদের।