• আজ ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 তৃতীয় দিনেও অনড় জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, জুমার পর আবারও উত্তাল কাকরাইল | ঢাকায় নিরাপদে অবতরণ করল চাকা খুলে যাওয়া বিমান, রানওয়ে বন্ধ | পিএসএল খেলার ছাড়পত্র চেয়েছেন সাকিব | জাতীয় সংগীতের পক্ষে কথা বলায় সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে: রিজভী | রাজধানীর যেসব স্থানে বসবে কুরবানির পশুর হাট | এসি মিলানকে কাঁদিয়ে ৫১ বছর পর শিরোপা জয় বোলোগনার | ‘আতঙ্কের’ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ করতে ৭ সিদ্ধান্ত | পরিবারের আপত্তিতে কবর থেকে লাশ তুলতে পারলেন না নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  | প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-লিট ডিগ্রি দিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় | দেশের অর্থনীতি পাল্টাতে চট্টগ্রাম বন্দরই আমাদের ভরসা : প্রধান উপদেষ্টা |

জমি নিয়ে বিরোধ আত্নহত‌্যার দেড় মাস পর হত্যা মামলা

| নিউজ রুম এডিটর ৫:৫৪ অপরাহ্ণ | মে ১৪, ২০২৪ আইন ও আদালত

 

আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ধুবনী গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র দুলু মিয়া (১৯)। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর তার বড় ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ি গিয়ে বিষ পান করেন। ৯ ডিসেম্বর সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ওই সময় হাতীবান্ধা থানায় দায়েরকৃর্ত এক অভিযোগে আজিজ দাবী করেন তার পুত্র দুলু মিয়া বিষ পানে আত্নহত‌্যা করেছেন। কিন্তু ঘটনার দেড় মাস পর আব্দুল আজিজ আদালতে মামলা করে দাবী করেন তার ছেলে দুলু মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সেই মামলায় তার ছেলের শ্বশুরকে আসামী না করলেও আসামী করেছেন তার সাথে জমি নিয়ে বিরোধ এমন ৫ জনকে । এ ছাড়া ওই মামলায় যাদের সাক্ষী করা হয়েছে তারাও জানেন না এ মামলার বিষয়ে কিছু।

সড়ে জমিন গিয়ে জানা যায়, আব্দুল আজিজের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে পাশ্ববর্তী ডিমলা উপজেলার ছাতুনামা এলাকার লালু মিয়ার পুত্র সোনাউল্ল্যার। ওই ঘটনার জের ধরে ছেলের আত্নহত‌্যাকে হত্যা দাবী করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী আদালতে এক মামলা দায়ের করেন আব্দুল আজিজ। সেই মামলায় আসামী করা হয় সোনাউল্ল্যাসহ তার ভাই ও ছেলেসহ ৫ জনকে। অথচ আজিজের ছেলে দুলু মিয়া যে তার বড় ভাইয়ের শ্বশুর আসাদ আলীর বাড়িতে গিয়ে আত্নহত‌্যা করেন এজাহারের সেই আসাদ আলীর নাম নেই।

কথা হয় হত্যা মামলার সাক্ষী সিরাজ মিয়া, আব্দুর খালেক ও হযরত আলীর সাথে। তারা জানান, দুলু মিয়া তার ভাইয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে বিষ পান করেন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আমরা হাতীবান্ধা হাসপাতালে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক দিন পরে মারা যায় দুলু মিয়া। তারা দাবী করেন, ওই ঘটনার সাথে সোনাউল্ল্যাসহ তার পরিবারের যে ৫ জনকে আসামী করা হয়েছে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং হত্যাকান্ডের বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।

এ নিয়ে একাধিক বার আব্দুর আজিজের বাড়ি গেলেও তার দেখা পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী সাহেরা বেগম বলেন, সোনাউল্ল্যার সাথে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। ওই ঝামেলা মিটে গেলে ওই মামলাও মিমাংশা হবে।

হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, ওই সময় আব্দুর আজিজ নিজেই দাবী করেছেন তার ছেলে বিষ পানে আত্নহত‌্যা করেছেন। ঘটনার দেড় মাস পর কি কারণে আদালতে হত্যা মামলা করলেন সেটা তিনি ভালো বলতে পারবেন। আজিজের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ এমন ব্যক্তিকেও মামলায় আসামী করা হয়েছে। আদালত যে নির্দেশ দিবে সেই নির্দেশের আলোকে পুলিশ আইনী ব্যবস্থা নিবে।