ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হলে অনেকেই গ্রেফতার হতে পারেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
সোমবার (১০ জুন) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এ ঘটনায় ঝিনাইদহে কাজী কামাল আহমেদ (বাবু) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বলা হচ্ছে সে এই হত্যাকাণ্ডে অর্থবিনিময়ে জড়িত ছিল। তার বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমি তো বললাম, তদন্ত শেষ হোক। অনেকেই গ্রেফতার হতে পারেন। তদন্তের আগে আমার মনে হয় এগুলো বলা উচিত হবে না।’
মূল আসামি যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তাকে গ্রেফতার করতে না পারলে আসামিদের বিচার কোথায় হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, মামলা দুটো হয়েছে। যেখানে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে একটি মামলা হয়েছে। সেটা হতেই হবে। আর ওই সংসদ সদস্যের মেয়ে ঢাকায় একটি মামলা করেছেন, তার নিরুদ্দেশ হওয়ার পরই। কাজেই এ ঘটনায় দুদেশই সম্পৃক্ত হয়ে গেছে।’
‘তাদের (ভারত) দেশে যেহেতু ঘটনা ঘটেছে, তাদের আসামিকে ফেরত নেয়া, বন্দি করার দায়িত্ব তাদের। আমি যতটুকু জানি, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময় চুক্তি আছে। সে ক্ষেত্রে হয়তো সেই সুবিধা ভারত সরকার পাবে। আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময় চুক্তি নেই। তবে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সব কাজেই তারা সহযোগিতা করছেন এবং ভবিষ্যতে করবেন,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
আনারের এমপি পদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটা প্রমাণ লাগবে যে এই খণ্ডবিখণ্ড মাংসগুলো তার। তার ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার মেয়ের সঙ্গে যদি মিলে যায়, তাহলে ভারত সরকার আমাদের জানাবে, তখনই আমরা বলতে পারব।’
আইনশৃঙ্খলার বৈঠকে আনোয়ারুল আজিমের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সত্যের খুব কাছাকাছি চলে এসেছেন বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিষয়টি এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনও বলছি, আমরা সত্যের কাছাকাছি এসে গেছি। মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত হলেই আমরা আপনাদের কাছে অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারব। মরদেহ নিশ্চিত হওয়ার জন্য যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের জবানবন্দি শুনেছি। তারা বলেছে যে, মরদেহ তারা খণ্ডবিখণ্ড করেছে। কোথায় রেখেছে, সেটা নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় ও আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী সেখানে গিয়েছিল, সেখান থেকে তারা যেগুলো পেয়েছেন, সেগুলো উদ্ধার করে ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হতে পারব না যে এগুলো তার মরদেহের অংশ।’