• আজ ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু | চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত | তাজিয়া মিছিলে হাজারো মানুষ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী | আজ ১০ই মহররম, পবিত্র আশুরা | নতুন বাংলাদেশে মাফিয়াতন্ত্রের সরকার গড়তে দেওয়া হবে না: নাহিদ ইসলাম  |

শেরপুরে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ

| নিউজ রুম এডিটর ৮:৩৬ অপরাহ্ণ | জুলাই ১৭, ২০২৪ শিক্ষাঙ্গন

 

রাকিবুল আওয়াল পাপুল,শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ শেরপুরে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুর তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত শহরের নিউমার্কেট মোড়, থানা মোড় ও চকবাজারে এসব সংঘর্ষ ঘটে।

এই ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিক ও কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে কয়েকজন পুলিশ সদস্য, দৈনিক গণমুক্তির জেলা প্রতিনিধি জাহিদ হাসান খোকন, ছাত্রলীগ নেতা তাশদীদুর রহমান, মাসুদ রানা ও জসিম, শিক্ষার্থী জান্নাতুল মিম, সুজন, রিয়া, তালহাজ, শরিফসহ বেশ কয়েকজন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী রয়েছেন।

এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দুপুর তিনটায় শেরপুর সরকারি কলেজে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে মিছিল শুরু করে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রদক্ষিণের সময় ছাত্রলীগের বাঁধার মুখে পড়ে। পরে কোটাবিরোধীরা শহরের থানামোড়ে, ছাত্রলীগ নিউমার্কেট মোড়ে এবং পুলিশ তাদের মাঝামাঝি অবস্থান নেয়। এসময় আকস্মিক কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

এসময় ইট পাটকেল নিক্ষেপের সময় এক সাংবাদিক, পুলিশসহ দুই গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এ সময় শহরের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছোড়ে। এতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও একটু পর ফের কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা থানা মোড়ে অবস্থান নেয়। সেখানে ডিবি পুলিশের ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং রাস্তায় আগুন দেয় শিক্ষার্থীরা।

পরে ফের শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। ওইসময় দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এভাবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হলেও শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।