যারা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করেন তাঁরা সমস্যার সমাধান সবসময় খুঁজে বের করার চেস্টা করেন। আর নেতিবাচক চিন্তার মানুষ সমস্যার সমাধান কখনও খুঁজে পান না; কারন অজুহাতগুলো তাঁদেরকে সামনের দিকে এগুতে দেয় না। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের অনেক সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়, আবার প্রয়োজন অনুযায়ী অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নিতে হয়।
ইতিবাচক মনোভাব চর্চার মাধ্যমে আমরা এ কাজগুলোকে অনেকটা সহজ করতে পারি। কঠিন পরিস্থিতিতেও কেবলমাত্র ইতিবাচক মনোভাব জীবনকে পাল্টে দিতে পারে।মানুষের মনের ভাবনা বা চিন্তা একটা শক্তিরূপে কাজ করে। নিজের মনকে নিয়ন্ত্রিত রেখে সেই নিয়ন্ত্রিত মনের চিন্তা শক্তিকে ভাল ও ইতিবাচক কাজে ব্যবহার করতে পারলে অনেক ভাল ও উদ্দীপক ফল পাওয়া যায়। আমাদের চিন্তা-ভাবনাগুলো মূলত ভালো বা মন্দ দু’ধরনেরই হয়। ভাল বা ইতিবাচক চিন্তা আমাদেরকে জোগায় ভাল উদ্দীপক শক্তি, দেহ মনকে করে উজ্জীবিত, সৃজনশীল আর সুন্দর। আর মন্দ বা খারাপ বা নেতিবাচক কুচিন্তা মনের দিক থেকে এবং দেহের দিক থেকেও আমাদেরকে দুর্বল করে তোলে। এতে প্রেরণাধর্মী কোন শক্তিতো জোগায়ই না বরং সার্বিকভাবে দেহ-মনকে করে তোলে অবসাদগ্রস্ত, প্রেরণাহীন।
প্রতিটি মানুষের জীবনে থাকে সাফল্য, থাকে ব্যর্থতা। নিজের সাফল্য তা যত ছোটই হোক বা বড়ই হোকনা আমরা তাকে খুব একটা গুরুত্ব দেই না, মূল্যায়ন করি না, মনে রাখি না।আমি কবির নেওয়াজ রাজ মনে করি,নিজের সাফল্য সেটা যতই ছোট হোক না কেন সাফল্যটাকে মূল্যায়ন করতে হবে।নিজের সাফল্যকে সব সময় প্রাধান্য দিতে হবে।দৃষ্টিভঙ্গির অর্থ হচ্ছে মনোভাব, মানসিকতা বা চিন্তার ধরন। অর্থাৎ একটি বিষয়কে কে কীভাবে দেখছে বা কীভাবে নিচ্ছে সেটিই হলো তার দৃষ্টিভঙ্গি। কোনো বিষয়কে ইতিবাচক মানসিকতার মাধ্যমে গ্রহণ করাই হচ্ছে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।ব্যক্তিগত জীবনে বা পেশাগত কারণে মানুষকে নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে হয়। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করলে মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করা অনেক সহজ হয়।ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাবে কাজে উৎসাহ ও মনোযোগ বাড়ে।
যারা এ ধরনের মনোভাব পোষণ করে তারা কোনো কাজকে হীন মনে করে না এবং কাজ করার প্রতি তাদের কোনো অবহেলা থাকে না। ফলে তারা ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে কাজ করতে পারে।ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করলে যেকোনো সমস্যা সহজেই সমাধান করা যায়।ইতিবাচক মূল্যায়ন মানুষকে উৎসাহ যোগায়, উদ্দীপনা দেয়, সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহস যোগায়, যা মানুষকে উপকার করে তা অর্জন করতে শেখায়, ধৈর্যধারনে উৎসাহ দেয়, মানুষের মধ্যে সৃজনশীলতা ও আবিস্কারের মন-মানসিকতা সৃষ্টি করে, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, অন্যকে ভালোবাসতে উদ্বুদ্ধ করে।
লেখকঃ কবির নেওয়াজ রাজ
এমএসএস”রাষ্ট্রবিজ্ঞান,সিসি”জার্নালিজম,এলএলবি।