আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট জেলা ইজতেমায় দ্বিতীয় দিনের শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করতে ইজতেমা ময়দানে হাজারো মানুষের ঢল নেমে আসে ।
শুক্রবার(৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটের কালেক্টর মাঠে জুম্মার নামাজ আদায় করতে হাজারো মুসুল্লির ঢল নেমে আসে। কালেক্টর মাঠে জায়গা না থাকায় দেখা গেছে, লালমনিরহাটসহ জেলা ৫ উপজেলার মুসিল্লিরা জেলা ইজতেমায় জুম্মার নামাজ আদায় করতে আসেন। দিনের প্রথমেই ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়, পরে জুম্মার নামাজের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন
ঢাকা কাকরাইল মসজিদের দেশবরেণ্য ১০ আলেম। এদিকে দুপুর ১২টার পর জুম্মার নামাজে ইজতেমার যোগদানকারী মুসুল্লি ছাড়াও জুম্মার নামাজে অংশ গ্রহন করতে আসেন জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ রংপুর বিভাগের ৮টি জেলা থেকে শত শত মুসল্লিগন। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য পর্যাপ্ত ওযুখানা, গোসলখানা ও ল্যাট্রিন নির্মাণ করা হয়েছে। রয়েছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যাবস্থা। ইজতেমায় আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা ইজতেমা বাস্তবায়ন কমিটির সুরা সদস্য হারুন অর রশিদ জানান, বিশাল মাঠ জুড়ে বাঁশ দিয়ে ছামিয়ানা তাবু টাঙ্গিয়ে ইজতেমা প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হচ্ছে। ইজতেমায় অংশ নেয়া মুসল্লিদের জন্য একশ’র ওপরে শৌচাগার, গোসলখানা ও অজুখানা, অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়েছে। সেই সাথে ইজতেমায় প্রশাসনিক নিরাপত্তার পাশাপাশি শতাধিক সেচ্ছাসেবী জোরদার করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টার দিকে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে।
ইজতেমা সফল করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি ইজতেমা প্রাঙ্গণে দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।
লালমনিরহাট সদর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, জেলা ইজতেমা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সেজন্য ইজতেমা ময়দানে সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ইজতেমা মাঠের নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে কর্মপন্থা সাজানো হয়েছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুরো ইজতেমা ময়দান পুলিশের নজরদারিতে থাকবে।