• আজ ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম

সিরাজদিখান বাজার সড়কে তীব্র যানজট, কাজে আসছে না বায়পাস সড়ক,জণদূর্ভোগ চরমে!

| নিউজ রুম এডিটর ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ | নভেম্বর ১৫, ২০২৪ মুন্সীগঞ্জ, সারাদেশ

 

সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান বাজার সড়কের তীব্র যানজটে জনসাধারণ অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। গোয়ালবাড়ী মোড় থেকে উপজেলা মোড় পর্যন্ত নিত্যদিনের যানজটের কারণে জণসাধারণের ভোগান্তির কোন কমতি নেই। সিরাজদিখান বাজার সড়কের অনাকাঙ্ক্ষিত যানজট নিরসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর থাকলেও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা।

 

এমনকি যানজট নিরসনে কাউকেই জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। থানা পুলিশ কর্তৃক সিরাজদিখান বাজার সড়কের আশপাশের দোকান সমূহের সামনে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত ছোট বড় ট্রাক থামিয়ে লোড আনলোড থেকে বিরত থাকার কথা বলা হলেও অনেক ব্যবসায়ী তা মানছেন না। এছাড়া সিরাজদিখান পরিবহন, এসএস পরিবহন ও ডিএম পরিবহনের বাস চালকদের ওভার টেকিংসহ বাজার সড়কে যত্রতত্র যাত্রী তোলা এবং নামানোর কারণেও সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগেই থাকছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, যানজট নিরসন ও ইজিবাইকের সিরিয়াল মেনটেনের জন্য ৪-৫ জন লাইনম্যান নিয়োগ করা হলেও যানজট নিরসনে তারাও ব্যর্থ হচ্ছেন। এছাড়া রাস্তার মাঝে ইজিবাইক থামিয়ে লাইনম্যানদের চাঁদাবাজীর কারণেও যানজট নিরসনে ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।

 

ইজিবাইক বেশি হওয়ায় দীর্ঘক্ষন যানজট লেগে থাকার কথা শিকার করে একাধিক ইজিবাইক চালক বলেন, প্রতিদিন প্রতিটি অটো থেকে লাইনম্যানরা ১০ থেকে ২০ টাকা করে আমাদের কাছ থেকে নেয়। কিন্তু তারাও যানজট কমাতে পারছে না। বাজার সড়কের যানজন কমানোর জন্য বায়পাস রাস্তা করা হলেও অনেক অটো চালকই সময় বাঁচাতে সে রাস্তা ব্যবহার না করায় যানজট লেগে থাকছে।সিরাজদিখান বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোতাহার হোসেন বলেন,ট্রাফিক পুলিশ ছাড়া বাজারের যানজট নিরসনে করা প্রায় অসম্ভব। কারণ বাজারে লাইনে থাকলেও তাদেরকে কোন অটো চালকই মানে না। বাজারের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে আমরা থানা পুলিশের সাথে একাধিকবার কথা বলেছি।

 

তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপেও নিয়েছে কিন্তু প্রথমে কয়েকদিন ঠিক ঠাক থাকলেও পরবর্তীতে যেই সেই। সবচেয়ে বড় কথা হলো বায়পাস যে রাস্তাটি করা হয়েছে সে রাস্তাটি কারপেন্টিং করার আগ পর্যন্ত যানজট থাকবেই। শুনেছি রাস্তাটির টেন্ডার হয়েছে যদি কার্পেন্টিং হয়ে যায় তাহলে হয়তো অনেকটাই যানজট কমবে।

 

এ ব্যপারে রশুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট আবু সাঈদ বলেন,রাস্তাটির টেন্ডার হয়েছে ১ মাস আগে। ওয়ার্ক অর্ডারও হয়েছে। আমার জানা মতে রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ অতি দ্রুতই ধরা হবে। কাজ হয়ে গেলে যানজট অনেকটাই কমে আসবে।