

ফিলিস্তিননের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের অস্থায়ী আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইন্দোনেশিয়া প্রস্তুত আছে। বুধবার (০৯ এপ্রিল) বিশ্বের বৃহত্তম এই মুসলিম দেশের প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য ও তুরস্কে সরকারি সফর শুরু করেছেন ইন্দোনেশিয়ার এই প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, প্রথম ধাপে যুদ্ধ ক্ষতিগ্রস্ত গাজার এক হাজার ফিলিস্তিনিকে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে তার দেশ।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের কীভাবে ইন্দোনেশিয়ায় সরিয়ে নেওয়া যায়, সেই বিষয়ে তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফিলিস্তিনি ও অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা আহত ও যুদ্ধের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও এতিমদের সরিয়ে নিতে প্রস্তুত। ভুক্তভোগীরা আঘাত থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা এবং গাজার পরিস্থিতি তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য নিরাপদ হওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে ইন্দোনেশিয়ায় থাকতে পারবে।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে ইন্দোনেশিয়া। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভূখণ্ডে ঢুকে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও জিম্মি হিসেবে ২৫১ জনকে ধরে নিয়ে যান হামাসের যোদ্ধারা। হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। দেড় বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে গাজায় নিহত হয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি ও আহত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের সমাধানে ইন্দোনেশিয়া নিজেদের ভূমিকা বাড়াতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রাবোও। তবে তিনি বলেছেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সহজ নয়।