• আজ ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রসহ আহত ২০

| নিউজ রুম এডিটর ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ | এপ্রিল ২৪, ২০২৫ সারাদেশ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: পূর্ব বিরোধের জের ধরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রসহ উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে।

বুধবার বিকেলে উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের ঘাগটিয়া-বাদাঘাট সড়কে ওই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।
বুধবার রাতে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের গুরুতর আহত ৬ জনকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের ঘটনাস্থলে থাকা প্রতক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া আর্দশ গ্রামের মৃত এখলাছুর রহমানের ছেলে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোশাহিদ হোসেন রানু ওরফে রানু মেম্বার পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশি পাড়া ঘাগটিয়ার বাঁশপাড়ার মৃত নিম্ভর আলীর ছেলে বকুল মিয়াকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি ও হয়রানি করতে থাকে।

বুধবার বিকেলে এ নিয়ে গ্রামবাসী সহ আশে পাশের গ্রামের সালিসীগণ সালিস বৈঠকে পূর্ব বিরোধ নিষ্পক্তির উদ্যোগ নিলে রানু মেম্বারের নেতৃত্বে তার লালিত লোকজনকে নিয়ে সংগঠিত হয়ে বকুল মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলার ঘাগটিয়া আর্দশ গ্রামের ইউপি সদস্য ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কর্মী মোশাহিদ হোসেন রানু ওরফে রানু মেম্বারের পক্ষে সংঘর্ষে জড়িত ঘাগটিয়া আর্দশ গ্রামের রানু মেম্বার, দ্বীন ইসলাম দিনু,আকাশ মিয়া, খেফাজুল ইসলাম,তাওহিদ, সেলিমগীর, আবু মিয়া,তানভির,সাগর মিয়া আহত হয়।

অপরদিকে সংঘর্ষে জড়িত উপজেলার ঘাগটিয়া বাঁশপাড়ার বকুল মিয়া, তার ছেলে মান্না, রুমান, একই পাড়ার মখসিনুর,কলেজ ছাত্র অপু মিয়া, তার সহোদর শিপু মিয়া, পথচারী জামবাগ গ্রামের তারেক গুরুতর আহত হয়।

সংঘর্ষ চলাকালে রানু মেম্বারের নেতৃত্বে তার লোকজন বকুল মিয়ার বসতবাড়িতে ভাংচুর ও লুপাট এবং একই পাড়ার আউয়াল মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তান্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার রাতে অভিযোগ অস্বীকার করে সদ্য কারা হাজত ফেরত উপজেলার ঘাটিয়ার আর্দশ গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ কর্মী মোশাহিদ হোসেন রানু ওরফে রানু মেম্বার বলেন, বকুল মিয়ার বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজনকে জড়ো করা হয়েছে আমাদের উপর হামলা করার জন্য।

উপজেলার ঘাগটিয়া বাঁশপাড়ার বকুল মিয়া পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, রানু মেম্বার গ্রামের জাদুকাটা নদীর তীরবর্তী একাধিক নিরীহ মানুষজনের জায়গা, সরকারি খাঁস জায়গা থেকে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে সেইভ , ড্রেজার চালিয়ে , নদীর পাড় কেটে কোটি কোটি টাকার খনিজ বালি পাথর বিক্রি করে আসছে টানা কয়েক বছর ধরেই,। তিনি আরো বলেন এসব নিয়ে প্রতিবাদ করায় সে ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা করে, বসত বাড়িতে ভাংচুর ও লুপাট করে এমনকি অতীতে অনেক মানুষজন তার ও তার লোকজনের হাতে শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।