• আজ ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ: শত শকুনির লক্ষ্য —মেজর নাসিম (অব)

| নিউজ রুম এডিটর ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ | মে ২৬, ২০২৫ রাজনীতি

বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা কে দক্ষিণ আফ্রিকার ফটো জার্নালিস্ট কেভিন কার্টনারের পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবির সাথে তুলনা করা যায়।

 


যেখানে একটি শুকুন ক্ষুধায় কাতর মৃত্যু পথযাএী এক শিশুর পিছু নিয়েছিলো। ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ সুদানের গৃহযুদ্ধ ও খরায় আক্রান্ত অনাহারের পরিস্থিতিকে তুলে আনে এই ছবিটি। সাড়া পৃথিবীতে আলোড়ন তুলে সেই ছবিটি। মৃত্যু পথযাএী শিশুটি অদূরে জাতিসংঘের খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে যেতে চেয়ে তার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। সুরু কাঠির মত পা তার কংকালসার দেহের ভার বইতে পারছিলো না।
তার নিশ্চিত মৃত্যু ভেবে এক শুকুনি তার পিছু নেয়। মাটিতে সম্পূর্ণ লুটিয়ে পরার অপেক্ষায় থাকে সে। কেভিন কার্টনার পেশাদার ফটোগ্রাফার বিখ্যাত সব ছবি তার ক্যামেরায় তোলা। ফটোগ্রাফার ছবি তুলেই স্হান ত্যাগ করেন। তিনি আর খোঁজ নেননি শিশুটির কি হলো, সে ফুড পয়েন্টে পৌঁছালো কিনা, তার পরিবারের সাথে শিশুটির সংযোগ করে দিতে তিনি কোন উদ্যোগ নেননি। নির্মম নিস্পৃহতা দেখিয়ে তিনি চলে যান। পরের বৎসর এই ছবির জন্য তিনি পুরস্কার পাওয়ার সাথে সাথে তাবৎ দুনিয়ায় কৌতূহলের ঝড় উঠে : কি হলো শিশুটির? কেন কেভিন তার মানবিক দায়িত্ব পালন করলেন না?

পুরস্কার পাওয়ার চার মাসের মাথায় তীব্র অনুশোচনায় কেভিন কার্টনার আত্মহত্যা করেন।

এবার আসি এই ছবির সাথে কেন বাংলাদেশের বর্তমান সার্বিক অবস্থার তুলনা করছি।

রাজনৈতিক টানাপোড়েন, তীব্র আর্থিক সংকট ও আন্চলিক ভূরাজনীতির চাপে বাংলাদেশের অবস্থা অনেকটাই ঐ শিশুর মতো। চারিদিকে শুকুনিরা অপেক্ষারত কখন এই দেশটি মরবে। ভারতের মোদি মিডিয়ার ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে ইউনুস সরকারের পতনের দিনক্ষণ গননায়। দেশের মধ্যেও ‘দেশী অজিত দোভাল’ রা তক্কে তক্কে আছে টিভির স্ক্রলে চোখ রেখে এটা শুনতে -দেখতে: এই মাএ দেশ ত্যাগ করলেন ডঃ ইউনুস,,,,,
দেশী বিদেশি সকল শকুনির মনবাসনা পুরো হয় তাতে।
ক্যামেরা তাক করে বসে আছে চিএগ্রাহক, সংগীন উঁচিয়ে বসে আছে ধূর্ত শেয়াল, কি বোর্ডে আঙুল চেপে আছে নিউজ এডিটর, সবার আগে ব্রেকিং নিউজ দিতে হবে।

সীমান্তের ওপারে হিংস্র গেরুয়া নেকড়ে উচ্চ স্বরে চিৎকার করছে,,,,কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ডঃ ইউনুস যেন অনাহারী কংকালসার সেই শিশু। ধীর লয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ডেডলাইনের দিকে।কেউ তাকে সাহায্য করছে না।

সেই শিশুটি শেষতক মরেনি- অলৌকিক ভাবে বেঁচে গেছে – ডঃ ইউনুসও মরতে মরতে বেঁচে আছেন।