

রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
খবর প্রকাশ ও মামলা করার ভয়ভীতি দেখিয়ে চাদাঁ আদেয়ের অভিযোগে শেরপুরের সাংবাদিক পরিচয়দানকারি আবু হানিফ মোহাম্মদ নোমান (৪৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আবু হানিফ মোহাম্মদ নোমান শেরপুর জেলা শহরের নারায়নপুর মহল্লার মৃত রহুল আমীনের ছেলে।
৩ জুন মঙ্গলবার সন্ধায় শেরপুর সদর থানার পুলিশ নারায়নপুর মহল্লায় অভিযান চালিয়ে আবু হানিফ মোহাম্মদ নোমানকে গ্রপ্তোর করা হয়।
পুলিশ জানায়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ইদ্রিস কোম্পানীর কর্মকর্তাদের কাছে একাধিকবার মিথা খবর প্রকাশ ও মিথ্যা মামলায় আসামি করার ভয়ভীতি দেখিয়ে চাদাঁ আদায় করে। আবারো কোম্পানীর মিডিয়া কর্মকর্তা রাজাদুল ইসলাম বাবুর নিকট চাদাঁ দাবি করে। চাদাঁ না পেয়ে কোম্পানীতে তালা দেয়া ও মিথ্যা মামলায় আসামি করাসহ হয়রানীর করার হুমকি প্রদান করে। এ বিষয়ে নোমানের একাধিক ভয়েস রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এ ঘটনায় রাজাদুল ইসলাম বাবু বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় ৩ জুন চাদাঁ দাবি ও চাদাঁ আদায়সহ হুমকি প্রদানের অভিযোগে বিতর্কিত কথিত সাংবাদিক নোমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৩ জুন সন্ধায় শেরপুর জেলা শহরের নারায়নপুর মহল্লার বাসায় অভিযান চালিয়ে আবু হানিফ মোহাম্মদ নোমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিষয়টি শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুবায়দুল আলম নিশ্চিত করে বলেন, তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এদিকে বিতর্কিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারি আবু হানিফ মোহাম্মদ নোমান দীর্ঘদিন ধরে সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশা মানুষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তিবর্গ উপদেষ্টা এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা জেলা প্রশাসক. রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকসহ কর্মকর্তাদের জড়িয়ে অপপ্রচার ও চাদাঁবাজি করে আসছিলো।
এ সংক্রান্ত একাধিক ভয়েস রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে সাংবাদিকতার মহান পেশাকে কলোষিত করা এ আবু হানিফ মোহাম্মদ নোমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী ওঠছিলো।
এ ব্যাপারে শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা বলেন, সাংবাদিকতায় কেউ আসলে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু একটি আইডি কার্ড সংগ্রহ করে কেউ সাংবাদিক দাবী করে মানুষকে হয়রানি ও চাদাঁবাজি করার বিষয়টি আমরা মেনে নিতে পারিনা। এসব কাজের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানাচ্ছি।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল বলেন, সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে মহান এ কাজকে যারা কলুষিত করবে তার পাশে আমরা দাড়াতে পারিনা। বরং আমরা এ অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবী করছি।