

মোঃরফিকুল ইসলাম মিঠু :(গাজীপুর থেকে ফিরে)
টঙ্গীতে হোটেল জাভানে শেষ অভিযানটি হয়েছিল ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর।এই অভিযানে নারী-পুরুষদের আটকের পর হোটেলটি সিলগালা করা হয়।এ সময় হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ৪৯৪ ক্যান বিয়ার, ৫৯৮ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।এই সকল মদের কোন অনুমতি ছিলো না। পতিতাবৃত্তির অপরাধে ২৭ জন নারী, হোটেলটিতে আসা ৩২ জন পুরুষ ও হোটেল পরিচালনায় নিয়োজিত ১৮ জনকে আটক করা হয়েছিলো।অভিযানের কিছুদিন পরে আবার গোপনে চালু হয় হোটেল জাভান।বর্তমানে হোটেলটি স্থানীয় প্রশাসন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কে ম্যানেজ করে অনুমোদনহীন দেশি বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের মত বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।রাত ৮ টার পর থেকেই মাতালদের একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে বেশ পরিচিতিও পেয়েছে হোটেলটি।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,লাল নীল আলোক সজ্জিত
মিউজিকের তালে তালে অশ্লীল ভঙ্গিতে নৃত্য করছে মেয়েরা।
নৃত্যের মাঝখানে টাকা ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিচ্ছে মাতালরা।একটি কালচার প্রোগ্রামের অনুমতি নিয়ে চলছে অশ্লীল ডান্স।১০ তলা বিশিষ্ট এই হোটেলের সুইমিংপুল থেকে শুরু করে মিনি স্পা,ফ্যামিলি রুম,সুইট রুম সহ ৬৬ টি কক্ষ রয়েছে।যে কেউ চাইলে এই কক্ষ গুলোতে নারীসহ প্রবেশ করতে পারে।পারমিট ছাড়া উঠতি বয়সের ছেলে মেয়ে থেকে শুরু করে সহ ধরনের লোকজন হরহামেশাই প্রবেশ করছে।বিক্রি করা হচ্ছে পার্সেল।এই সকল অনিয়মের বিষয় হোটেল জাভানের মালিক সায়মন বলেন,একদিন আসেন কথা বললো।এই সকল অনিয়মের বিষয়ে গাজীপুর জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এমদাদুল হক মিঠুন বলেন, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তবে কবে ব্যবস্থা নিবেন তা স্পষ্ট করে জানেন নি।