
✒️সাংবাদিকতা হলো সমাজের আয়না। তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে, দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রকাশ করে এবং মানুষের কণ্ঠস্বর তুলে ধরে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সত্য বলার অপরাধেই আজ বিশ্বের নানা প্রান্তে সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন থেমে নেই আমাদের দেশেও।
✒️সাংবাদিকতা হচ্ছে সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। রাষ্ট্র ও সমাজের উন্নয়নে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তারা মানুষের কথা তুলে ধরেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরেন এবং দুর্নীতি, বৈষম্য কিংবা অনিয়মের মুখোশ উন্মোচন করেন। কিন্তু আজ দুঃখজনকভাবে সত্য প্রকাশ করার অপরাধেই সাংবাদিকদের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে।
হুমকি, হামলা, মিথ্যা মামলা, হয়রানি থেকে শুরু করে প্রাণঘাতী আক্রমণ—সবই আজ সাংবাদিকদের নিত্যদিনের বাস্তবতা। যারা কলম দিয়ে সত্য প্রকাশ করেন, তাদের মুখ বন্ধ করতে নানা রকম ভয়-ভীতি দেখানো হয়। এর ফলে শুধু সাংবাদিক নয়, গণতন্ত্র এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও হুমকির মুখে পড়ে।
নির্যাতনের অন্য রূপ:
সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন নানা আকারে দেখা যায়। কখনও শারীরিক হামলা, কখনও মিথ্যা মামলা, আবার কখনও ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাদের চুপ করানোর চেষ্টা করা হয়। অনেক সময় সরকারি-বেসরকারি প্রভাবশালী মহল সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয় না। তারা সত্য প্রকাশ করলেই চাকরিচ্যুত, হয়রান বা আক্রমণের শিকার হন। বিশ্বজুড়ে এমনকি আমাদের দেশেও প্রতি বছর বহু সাংবাদিক হামলার শিকার হন, কেউ কেউ প্রাণও হারান।
কেন এটি উদ্বেগজনক?
গণতন্ত্র বিপন্ন হয়: সংবাদমাধ্যম স্বাধীন না থাকলে জনগণ সত্য তথ্য থেকে বঞ্চিত হয়।
ভয় ও আত্মনিয়ন্ত্রণ তৈরি হয়: নির্যাতনের কারণে অনেক সাংবাদিক আর সত্য প্রকাশে সাহস পান না।
সমাজে অন্ধকার নেমে আসে: সত্য গোপন হলে অন্যায় আরও বেড়ে যায়।
আমাদের করণীয়
সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করা শুধু সাংবাদিকদের দায়িত্ব নয়; এটি পুরো সমাজ তথা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত এবং সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধের আইন পাশ করা ছাড়া এ সমস্যার সমাধান কখনো সম্ভব নয়।
📝লেখায়: নাজমা সুলতানা নীলা
সম্পাদক ও প্রকাশক পিপলস নিউজ





















