
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির গর্ব ও আত্মত্যাগের এক অনন্য ইতিহাস। সেই যুদ্ধের মাধ্যমে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী লড়াই শেষে অর্জিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। কিন্তু ২০২৪ সালের বাংলাদেশ এক ভিন্ন বাস্তবতা, যেখানে উন্নয়ন, রাজনীতি, সামাজিক দ্বন্দ্ব আর অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের নানা চিত্র ফুটে উঠছে।
কিন্তু ২০২৪—স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরের বাংলাদেশ এক ভিন্ন বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে। উন্নয়ন, প্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত অগ্রগতি চোখে পড়লেও রাজনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি, দুর্নীতি ও সামাজিক বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।
৭১-এ লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা, ২৪-এ লক্ষ্য হওয়া উচিত সুশাসন ও সমতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শুধু যুদ্ধের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি ন্যায্য অধিকার, গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচারেরও প্রতীক। সেই চেতনাকে ধারণ করে বর্তমান প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে হবে দেশকে।
৭১ বনাম ২৪—একদিকে সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস, অন্যদিকে উন্নয়ন ও সুশাসনের চ্যালেঞ্জ।
ইতিহাসবিদদের মতে, ৭১ আমাদের শেখায় ঐক্য, সাহস ও আত্মত্যাগ। আর ২০২৪ আমাদের মনে করিয়ে দেয়—স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণের যাত্রা এখনও শেষ হয়নি। দারিদ্র্য হ্রাস, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক চর্চা আরও জোরদার না হলে ৭১-এর চেতনা পূর্ণতা পাবে না।
স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পরও তাই জাতির সামনে প্রশ্ন রয়ে গেছে— আমরা কি ৭১-এর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পেরেছি?
স্বাধীনতা অর্জনের পরও সেই স্বাধীনতার স্বপ্ন পূর্ণতা পায়নি; নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব হবে ৭১-এর ত্যাগকে ধারণ করে ২৪-এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা।
লেখক : নাজমা সুলতানা নীলা
সম্পাদক ও প্রকাশক পিপলস নিউজ






















