• আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ | মানবিক বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার শিক্ষার্থীরা; সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমিনুল হক | বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্র হিসাবে মনে করতো ভারত –রুহুল কবির রিজভী | রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল, ১১টায় বৈঠক | সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে মামলার ভয়ে যুবককের আত্নহত্যা! | যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না: আসিফ নজরুল | মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ মারা গেছেন | ফ্যাসিস্টরা নববর্ষকে দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল: নাহিদ | দেশ থেকে অশুভ দূর হয়েছে, যতটুকু আছে তাও চলে যাবে: প্রেস সচিব | ড: ইউনূস পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন কীভাবে, প্রশ্ন মান্নার |

মাল্টা চাষে স্বাবলম্বী নাটোরের মিজানুর

| নিউজ রুম এডিটর ৬:৩১ অপরাহ্ণ | মার্চ ২, ২০২৪ নাটোর, সারাদেশ

জেলা প্রতিনিধি, নাটোর :পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিত মাল্টা। তবে সমতল ভূমিতেও এ ফলের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। নাটোরের বড়াইগ্রামে বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে মাল্টার। ‘মাটির গুণাগুণ ঠিক থাকলে সমতল এলাকাতেও মাল্টা চাষ করে লাভবান হতে পারেন যে কেউ-ই’-এমনটিই জানিয়েছেন বড়াইগ্রাম উপজেলার সফল মাল্টাচাষি মিজানুর রহমান। মাল্টা চাষে দারুণ সফলতার কারণে তিনি বর্তমানে এলাকায় মাল্টা মিজান নামে পরিচিত।

জানা যায়, মিজান এক সময় পেশায় ট্রাক চালক ছিলেন। এক সময় বাড়তি আয়ের আশায় সৌদি আরব যান। প্রবাসে থাকা অবস্থায় ইউটিউবে তিনি মাল্টা চাষের মাধ্যমে ময়মনসিংহের এক চাষীর সফলতা দেখে নিজেও উদ্বুদ্ধ হন। পরে দেশে ফিরে এসে তিনি আটঘরিয়া এলাকায় ১৭ বিঘা জমি লিজ নিয়ে বারি-১ ও মিশরীয় জাতের মাল্টা চাষ করেন। তার বাগানে বর্তমানে এক হাজার ৬৮৩ টি মাল্টা গাছ রয়েছে। চারা রোপণের দুই বছর পর ফল ধরতে শুরু করলেও তিন বছর পর প্রতিটি গাছে পূর্ণাঙ্গরূপে ফল ধরা শুরু করে। প্রতিটি গাছ থেকে ৩০০-৪০০টি মাল্টা পান তিনি।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগানে সারিবদ্ধ মাল্টার গাছ। তার বাগানে ৭-৮ জন শ্রমিক কাজ করছেন। তারা সারা বছরই এ বাগানে কাজ করেন। এছাড়া মাঝে মাঝে ১২-১৫ জন শ্রমিকও লাগে। মাল্টা চাষ করে মিজানুর এখন সফল ও স্বাবলম্বী হয়েছেন। ইতোমধ্যে চলতি মৌসুমে মাল্টা বিক্রি থেকে নিট আয় করেছেন প্রায় ২৪ লাখ টাকা। জমি লিজের টাকা, শ্রমিকের মজুরী ও অন্যান্য খরচ বাদে তার প্রায় ১৪ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। বাগানে এখনও বেশ ভাল পরিমাণ মাল্টা রয়েছে তার। সচরাচর রাজধানী ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও গাজীপুর থেকে ব্যাপারীরা তার বাগানে এসে মাল্টা কিনে নিয়ে যান বলে তিনি জানান। প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থী এবং ক্রেতারা ভিড় করেন তার বাগানে।

মিজানুর রহমান বলেন, ইদানিং বিভিন্ন জাতের ফলে ফরমালিন ব্যবহারের হিড়িক পড়েছে। যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। মানুষকে ফরমালিন মুক্ত নিরাপদ ফল খাওয়ানোর কথা চিন্তা করেই মাল্টার বাগান করেছি। মাল্টা চাষে কৃষি বিভাগের পরামর্শসহ নানাভাবে সহযোগিতা পেয়েছি। অল্প পরিশ্রমে কম খরচে মাল্টা চাষ করে লাভবান হওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, মাল্টা চাষ করে মিজানুর সফল হয়েছেন। সরেজমিনে পরিদর্শন করে নানা বিষয়ে তাকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রয়োজনীয় সার সরবরাহসহ নানা ভাবে সহযোগিতা করেছে কৃষি বিভাগ। তার দেখাদেখি এলাকায় মাল্টা চাষের প্রবণতা বাড়ছে।