

রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
শেরপুরে ভূয়া এক্সরে রিপোর্টে মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদান করায় ছাত্রদল নেতার পরিবার হয়রানি শিকার হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। ছাত্রদল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে শেরপুরের সিভিল সার্জন ও জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের নিকট অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানাযায়, জমিজমা নিয়ে বিরোধে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার লঙ্গরপাড়ার বাসিন্দা সোহেল রানা নবাকুলদের সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা ও খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুর ইসলামের পরিবারের লোকদের বিরোধ হয়। এতে শাহিনুরের পরিবারের তিনজন আহত হয়। এঘটনায় তারা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি জহুরুল ইসলাম, তার ভাতিজা সোহেল রানা নবাকুলগংদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার চারদিন পর সোহেল রানাদের পক্ষ থেকে আদালতে একটি সিয়ার মামলা করা হয় ছাত্রদল নেতা শাহীনের ভাই বোন ও চাচাদের বিবাদী করে। এ ঘটনায় শ্রীবরদীর লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক্সরে রিপোর্টে দেখানো হয়, সোহেল রানার হাত ভেঙে গেছে। এ রিপোর্টের আলোকে শেরপুর জেলা হাসপাতাল থেকে একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সোহেল রানা নামে কারোর এক্সরেই করানো হয়নি। লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোঃ হাসান জানান, ২২ ডিসেম্বর সোহেল রানা নামে কোন রোগীর এক্সরে আমরা করিনাই। ওই এক্সরে রিপোর্ট ভূয়া।
ছাত্রদল নেতা শাহীন বলেন, আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করে তিনজনকে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে নেয়ার জন্যই ভূয়া মেডিকেল সনদ তুলে আমাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ শাহীন জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে বলা হয়েছে।