• আজ ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল খোলার পর এক সপ্তাহে আড়াই লাখ শিশু করোনায় আক্রান্ত

| নিউজ রুম এডিটর ৪:৪৯ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১ আন্তর্জাতিক

বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে সবার উপরে। সে দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৮৭ জন এবং মারা গেছে ছয় লাখ ৭১ হাজার ১৮৩ জন।

করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে স্কুল খোলার পর নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে দেশটি। জানা গেছে, সে দেশের শিশুরা ব্যাপক হারে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে।

গত ২ সেপ্টেম্বর আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস ও চিলড্রেনস হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের এক সপ্তাহে দেশটিতে প্রায় দুই লাখ ৫২ হাজার শিশু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এখন প্রতি সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক শিশু করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।

এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাখ লাখ শিশু ক্লাসরুমে ফিরেছে। যেখান থেকে দেশটি নতুন করে আবার বিপদের মধ্যে পড়ছে। খুদে শিশুরা রেকর্ড গড়ে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক শিশু আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে আবার ভারতের ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ছড়িয়েছে দেশটিতে।

দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলোর মতে, নতুন যেসব শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে, তার অর্ধেকেরও বেশি দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে।

এবিসি নিউজের মতে, দেশটির অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় টেক্সাসে অনেক বেশি শিশু করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। যেখানে রাজ্যটির গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট স্কুলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নিষিদ্ধ করেছিলেন।

টেক্সাস চিলড্রেন হাসপাতালের প্যাথলজিস্ট-ইন-চিফ জেমস ভার্সালোভিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এটিকে চতুর্থ ঢেউ বলছি… কিন্তু এটি অবশ্যই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ। সত্যিই শিশু এবং কিশোরদের আঘাত করছে এবার।’

এবিসি নিউজকে একজন মা জানান, স্কুলে ফেরার কয়েকদিন পরই তার ১১ বছরের মেয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এখন সে ভেন্টিলেটরে রয়েছে। তার ফুসফুসের কঠিন অবস্থা।

আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস ও চিলড্রেনস হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন উভয়ই সর্বশেষ সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে লিখেছে, বর্তমানে শিশুদের মধ্যে করোনায় মৃত্যু এবং গুরুতর অসুস্থতা ‘অস্বাভাবিক’। সংস্থাগুলো এ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার কথা বলেছে।

সংস্থাগুলো বলছে, এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কী হতে পারে, এর ওপর আরও তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন। এছাড়া ভাইরাস সংক্রমিত শিশুদের দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি কী কী হতে পারে, পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, সে বিষয়েও আরও তথ্য বিশ্লেষণ করা দরকার।

পিএন/জেটএস