• আজ ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 ‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের অনেককে আনন্দিত করেছে’ | মাঝ পথে থেমে গেলো কক্সবাজারগামি পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেন | ইসরাইলে ৪ শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান, পাঠিয়েছে শত শত ড্রোন | ইরান কখনো পরাজয় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করবে না: খামেনি | আ.লীগকে নেব না, ভালো মানুষদেরও বাদ দেব না: মির্জা ফখরুল | সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে পাকিস্তান, ইসরাইলকে কড়া হুঁশিয়ারি | মির্জা ফখরুলের সাথে বৈঠক করলেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ফেরেস | ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরাইলের হামলা, ভিডিও প্রকাশ! | ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করল পাকিস্তান | সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে: আইন উপদেষ্টা |

কোনো অনুমতির পরোয়া করে না ‘বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা’

| নিউজ রুম এডিটর ৪:৩৭ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১ আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

মুক্তিযুদ্ধ আর শেখ হাসিনার নামে সংগঠন খুলতে কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। এমনটাই দাবি ‌’আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ’ সংগঠনের নেতাদের। তাই গত ১৪ বছরে মূল দলের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি তারা। নেতারা নিজেরাই জানেন না, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রকৃত তারিখ।

এরপরও ১২ বছর ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ। সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এমনই এক নামসর্বস্ব সংগঠনের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

বিভিন্ন পক্ষের প্রশ্রয়ে অবস্থা এতোটাই খারাপ যে, সকালে মূল দলের সম্পাদক মণ্ডলীর সভা থাকারও পরও নিজেদের অনুষ্ঠান চালানোর ঘোষণা দেন প্রজন্ম লীগের নেতারা।

সংগঠনটির এক নেতা বলেন, অনুমতি দিলো কি দিলো না, তাতে নাকি তাদের কিছুই যায় আসে না। তারা ‘বঙ্গবন্ধুর সৈনিক’ তাই পরোয়া করেন না এসব আনুষ্ঠানিকতার। একই সংগঠনের অন্য এক নেতার যুক্তি আরও ভয়াবহ। তিনি দাবি করেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার জন্য অনুমতি দরকার হয়নি কারো, তাই অনুমতির দরকার নেই তাদেরও।

অনুষ্ঠান সফল করতে ট্রাকভর্তি করেও কর্মী নিয়ে আসেন সংগঠনের নেতারা। তবে সংগঠন নিয়ে নানা হুমকি ধামকি দিলেও পুলিশের হস্তক্ষেপে হঠাৎ পাল্টে যায় দৃশ্যপট। মাত্র পাঁচ মিনিটে গুটিয়ে ফেলা হয় সকল আয়োজন।

ডিএমপি মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার আব্দুল আহাদ জানান, আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন হলে আওয়ামী লীগের সমাবেশের জন্য আওয়ামী লীগের অনুমোদন তো লাগবেই। তা তারা নেয়নি। এমনকি পুলিশকেও এ ব্যাপারে আগে থেকে কিছু জানায়নি তারা।

এই আয়োজন নিয়ে আলোচনা হয় সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠকেও, ভূঁইফোর এমন সংগঠনের কোনো অনুমোদন নেই বলে জানান মূল দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ ধরনের সংগঠন আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তির জন্য হুমকিস্বরূপ। আর চাঁদাবজির জন্য এমন দোকান অনেকেই খুলে থাকে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নাম সর্বস্ব এসব সংগঠনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।

পিএন/জেটএস