• আজ ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি | হত্যাকান্ড ধামাচাঁপা দিতে ওসির ‘জজ মিয়া’ নাটক | নারী নিপীড়ন ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি | শেখ হাসিনা-রেহানা পরিবারের জমি-ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ | মাগুরায় শিশু ধর্ষণ : গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামি রিমান্ডে | গাড়ি চাপায় পোশাক শ্রমিক নিহত বনানী – মহাখালী রাস্তা অবরোধ | আশুলিয়া ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি |

শেষ সম্বল বিক্রি করেও শিশু খাদিজাকে বাঁচাতে পারলো না

| নিউজ রুম এডিটর ৮:৩১ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ৫, ২০২১ লালমনিরহাট, সারাদেশ

আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ ৭ বছর বয়সী শিশু খাদিজা খাতুন। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা রেলওয়ে ষ্টেশনের পিছনে দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামের ভ্যান চালক ফেরদৌস আলীর মেয়ে। গত ১৪ নভেম্বর নিজ বাড়িতে আগুনে তার শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে যায়। দীর্ঘ ২০ দিন মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটপট করার পর গত শনিবার রাতে মারা যায় শিশু খাদিজা।

জানা গেছে, আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর ওই দিন তাকে দ্রুত হাতীবান্ধা হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও টাকার অভাবে নিয়ে যেতে পারছিলো না শিশু খাদিজার বাবা ভ্যান চালক ফেরদৌস।

খবর পেয়ে কয়েকজন সংবাদ কর্মী হাসপাতালে ছুটে গিয়ে শিশু খাদিজাকে নিয়ে তাৎক্ষনিক সংবাদ প্রকাশ করলে বিভিন্ন জন তার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করতে থাকে। পরের দিন শিশু খাজিদাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসায় অর্থের সংকট দেখা দিলে ভ্যান চালক ফেরদৌস আলী তার আয়ের এক মাত্র সম্বল ভ্যানগাড়িটিও বিক্রি করে মেয়ের চিকিৎসা করেন।

শনিবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা শিশু খাদিজাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরার্মশ দেন। কিন্তু টাকার অভাবে ঢাকা নিয়ে না গিয়ে শিশু খাদিজাকে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন ফেরদৌস আলী। অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় অর্থের কাছে হেরে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শিশু খাদিজা। রোববার তার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

শিশু খাদিজার বাবা ভ্যান চালক ফেরদৌস আলী বলেন, টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আজ আমি আমার সুস্থ হওয়া মেয়েটিকে হারালাম। জীবনের শেষ সম্বল ভ্যান গাড়িটিও বিক্রি করে মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না। এখন নিজে ও স্ত্রীসহ বাকি সন্তানদের কি ভাবে আয় করে তাদের মুখে খাবার তুলে দিবো?