সিরাজদিখান(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ১২শ টাকার খাজনা ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এক তহশীলদারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই তহশীলদার উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া নামজারী করাতে গেলে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে ১০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকাও নিয়ে থাকেন । অর্থ আদায়ের বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে৷ তার নাম সারপিন ঢালী।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের গোয়ালখালী গ্রামের মৃত মমিন উদ্দিনের ছেলে মোঃ নুরুল ইসলাম সম্পত্তির খাজনা দিতে সম্প্রতি শেখরনগর ভূমি অফিসে তহসিলদার সারপিন ঢালীর স্বরণাপন্ন হন। পরে খাজনার কথা বলে ভুক্তভোগী মোঃ নুরুল ইসলামের কাছ থেকে ফাঁপর দিয়ে ৪৫ হাজার টাকা আদায় করেন তহসিলদার সারপিন ঢালী। পরে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি জানাজানি হলে ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের দারস্থ হয়ে এর প্রতিকার চেয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কমলপুর গ্রামের আবুল বাশার দুলুর পুত্র মিজানুর রহমানের নিকট থেকে নামজারীর হোল্ডিং খুললতে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন এ কর্মকর্তা। টাকা ছাড়া মিলে না এ অফিসে কোন সেবা। সরকারী বন্দোবস্তকৃত খাস জমির শর্তাবলীতে ৭ নং কলামে লেখা আছে ১৫ বছরের পূর্বে হস্তান্তর করা যাবে না সে শর্তকে ভায়োলেট করে ৩ বছর পরেই মালিকানা বদলের দলিল হয়। সে দলিলের তারিখ ঘষামাজা করেই মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নামজারী করা হয় এ অফিসে। টাকা দিলে সবই হয় এ অফিসে ।
ভুক্তভোগী মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, সারপিন ঢালী আমার কাছ থেকে খাজনার কথা বলে ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছে। সে ফাঁপর দিয়ে টাকাটা আমার কাছ থেকে আদায় করেছে। আমি এর প্রতিকার এবং আমার বাকী টাকা ফেরৎ চাই।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত সারপিন ঢালী বলেন, এসব মিথ্যা আমি এ ধরনের কোন কাজ করি নাই।
সিরাজদিখান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসনিম আক্তারের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।