
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে শ্যামল মজুমদার নামের এক ব্যাক্তি শিক্ষাগত যোগ্যতার ভূয়া সনদ দিয়ে ইথিক্যাল ড্রাগস লিঃ নামক একটি ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি করার খবর পাওয়া গেছে। শ্যামল মজুমদার লক্ষ্মীপুর সদরের ৬ নং বাঁঙ্গা খা ইউনিয়নের আমানতউল্লাপুর গ্রামের সুরেন্দ্র ডাক্তার বাড়ীর মৃত পরশ মজুমদারের ছেলে। একই সাথে শ্যামল দীর্ঘদিন ধরে ধানাইপানাই নামক স্থানে ফার্মেসী খুলে ঔষধ বিক্রি ও রোগীদের চিকিৎসা করছে।
ইন্টারমিডিয়েট ও বিএ পাশের সনদ দিয়ে শ্যামল মজুমদার ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইথিক্যাল ড্রাগস লিমিটেড কোম্পানিতে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন দোকানে ঔষধ প্রতিনিধি হিসেবে ঔষধ বিক্রি করছে। সে তার এলাকা ধানাইপানাইতে ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই ফার্মেসী খুলে ঔষধ বিক্রি ও রোগীদের চিকিৎসা করছে। জন্মনিবন্ধন থেকে জানা যায় শ্যামল মজুমদার পিতা পরশ মজুমদার, মাতা সন্ধা রাণী মজুমদার, গ্রাম আমানতউল্লা পুর, সুরেন্দ্র ডাক্তার বাড়ী হলেও শিক্ষা সনদে প্রাপ্ত ঠিকানা, শ্যামল মজুমদার পিতা নেপাল মজুমদার, মাতা ফুল মজুমদার, গ্রাম এখলাসপুর, উপজেলা বেগমগঞ্জ, জেলা নোয়াখালী। নামের সাথে মিল থাকায় সে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ইথিক্যাল ড্রাগস লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চাকরি নেয়। প্রকৃত সনদধারী প্রতারক শ্যামলের মাসতুতো ভাই লাগে।
জানা গেছে ইথিক্যাল ড্রাগস লিমিটেড কোম্পানিতে শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে ঔষধ বিক্রি করতে পারা লোকদের গুরুত্ব বেশী।
শ্যামল মজুমদার এ প্রতিবেদকের কাছে মাসতুতো ভাই শ্যামলের সনদ ব্যবহারের কথাটি স্বীকার করে বলেন- তিনি চাকরি পাওয়ার জন্য এ কাজটি করেছেন।
ইথিক্যাল ড্রাগস এর লক্ষীপুর জোনাল ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন- ‘ভুয়া মিথ্যা সনদ দিয়ে চাকরি করার বিষয়টি আমি জানি না। তবে ইথিক্যাল ড্রাগস লিমিটেডে চাকরি নিতে সনদের মূল কপি নেয়া হয় না। এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে মাঠ পর্যায়ে দক্ষ লোকদের নিয়োগ দেয়া হয়।’
এরিয়া ম্যানেজার আব্দুল তৌহিদ মৃধা এ প্রতিবেদকের কাছে বলেন-‘বিষয়টি যখন আমি শুনতে পেরেছি, তাহলে এর বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুল গফফার বলেন- ‘বিষয়টি জেনে অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছি। বিদ্যাশিক্ষাহীন, সনদ, ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই কীভাবে একজন লোক ঔষধ বিক্রি করছে এবং রোগী দেখছে! বিষয়টি যাচাই বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখতে পারেন পিপলস নিউজ‘এ । আজই পাঠিয়ে দিন feature.peoples@gmail.com মেইলে