• আজ ১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 বাংলাদেশকে সামরিক সহায়তা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র | জুলাই আন্দোলনকে একাত্তরের সঙ্গে তুলনা, তোপের মুখে সিভিল সার্জন | সন্দ্বীপের কলঙ্ক থেকে আজ মুক্ত: প্রধান উপদেষ্টা | দুপুরে বিসিবির জরুরি সভা, আসতে পারে কয়েকটি সিদ্ধান্ত | থাইল্যান্ডে ইউনূস-মোদি বৈঠক প্রসঙ্গে যা বললেন জয়শঙ্কর | এক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান একাধিক গণমাধ্যমের মালিক হতে পারবে না | প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ | প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ | নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গণ-বিক্ষোভের আহ্বান সাবেক প্রধানমন্ত্রীর | অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর |

করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত আরও কমল

| নিউজ রুম এডিটর ৭:১২ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২ কোভিড-১৯, লিড নিউজ

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৭১ জনে।

একই সময় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২৬৮ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৮০৩ জনে।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আগের দিন (বৃহস্পতিবার) ৪১ জনের মৃত্যু এবং ৭ হাজার ২৬৪ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।এর আগের দিন (বুধবার) ৩৩ জনের মৃত্যু হয়; শনাক্ত হন ৮ হাজার ১৬ জন; শনাক্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

শুক্রবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৩৫৩ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৮৯৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৩৪ হাজার ৬৭টি। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে।