স্টাফ রিপোর্টারঃ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের ফৈনপুর গ্রামে মাটি কাটতে নিষেধ করায় আব্দুল জলিল নামে ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে একই গ্রামের প্রতিবেশী আঃ বারেক শেখের ছেলে সালাম শেখ (৩৫), মৃত ফারুক মিয়ার ছেলে সিহাব (২২),আঃ বারেক শেখের ছেলে বাবুল শেখ (৪০) ও মৃত শেখ হায়দারের ছেলে বারেক শেখ (৬৫) বিরুদ্ধে।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের ফৈনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধ বাদী অভিযুক্ত চারজনকে বিবাদী করে শেখরনগর তদন্ত কেন্দ্রে সাধারণ ডাইরী করেছেন। ডাইরীর প্রেক্ষিতে তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে আব্দুল জলিল তার পৈত্রিক সম্পত্তির সীমানা সংলগ্ন জমিতে আঃ বারেক শেখের ছেলে সালাম শেখ গংদের তাদের জমি থেকে মাটি কাটতে দেখে সেখানে গিয়ে দেখেন সীমানা ঘেষে মাটি কাটার ফলে তার বাড়ির সীমানা থেকে মাটি ধরে পরছে।
এ কারণে তিনি তাদের সীমানা ঘেষে মাটি কাটতে নিষেধ করেন। অন্যথায় তিনি বিষয়টি চেয়ারম্যানের নিকট নালিশ দেওয়ার কথা বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সালাম শেখসহ তার সাথে থাকা সিহাব, বাবুল শেখ ও বারেক শেখ আরো বেশ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বাশের লাঠি ও গাছের ডালা দিয়ে বৃদ্ধকে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। বৃদ্ধ আব্দুল জলিলকে ৪-৫ জন মিলে এলোপাথারী ভাবে পেটাতে দেখে আশপাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। প্রতিবেশীরা বৃদ্ধকে একা পেয়ে মারধরের বিষয়টি স্থানীয় জণপ্রতিনিধিদের কাছে জানানো কথা বললে তারা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। মারধরের বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুল জলিল সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানিয়ে পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত বাবুল শেখ বলেন, আমরা কাউকে মারধর করি নাই। আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। শেখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার বলেন, তাদের সাথে পূর্ব শত্রুতা ছিলো। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি দেখছি। শেখরনগর তদন্ত কেন্দ্রের এস,আই মোঃ লিটু গাজী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,তদন্ত কেন্দ্রে সাধারণ ডাইরী হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে বৃদ্ধকে মারধরের বিষয়ে জানতে পেরেছি। স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি দেখবেন বলেছেন এবং তারা বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষ সম্ভবত বসবেন। আমি প্রসিকিউশনের জন্য জিডি কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীর প্রতি কোন ত্রুটি থাকবে না।