যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে রাশিয়া যেন তার সৈন্যদের আরও সামনের দিকে এগিয়ে না নেয় সে বিষয়ে হুঁশিয়ার দিয়েছেন ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক।
তিনি বলেন, তার সরকার এমন কিছু খবর এখন ‘যাচাই’ করে দেখছে যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে শরণার্থী যাতায়াতের করিডোর বরাবর রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা এই পথ ব্যবহার করছি নারী ও শিশুসহ বেসামরিক লোকজনকে বের করে আনতে এবং ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে। সারাবিশ্ব এদিকে তাকিয়ে আছে।
ভেরেশচুক বলেন, আন্তর্জাতিক রেডক্রস এই যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছে এবং বেসামরিক লোকজনকে বের আনতে তারাই সামনের কাতারে থাকবে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের দুটি শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। স্থানীয় সময় শনিবার (৫ মার্চ) এ ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বেসামরিক লোকদের জন্য মানবিক সহায়তা করিডোর চালু করেছে মস্কো। রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা শহর দুটি হলো মারিওপোল ও ভলনোভাখা।
রুশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, আজ (৫ মার্চ) মস্কোর সময় সকাল ১০টা রাশিয়ার পক্ষ থেকে শান্ত থাকার কথা বলা হচ্ছে এবং বেসামরিক লোকদের জন্য মারিওপোল ও ভলনোভাখা মানবিক সহায়তা করিডোর হিসেবে চালু করা হলো।
তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি স্পষ্ট নয় যে কতক্ষণ এই রুট খোলা থাকবে। এদিকে, ইউক্রেনের তরফ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।