রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার কোনো জনসমাগমস্থলে গেলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একটি সামরিক হাসপাতাল পরিদর্শন করে যুদ্ধাহত সেনাদের খোঁজখবর নেন তিনি। সাধুবাদ জানান দেশের জন্য সবার ত্যাগ ও রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধচেষ্টার।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে এতদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভিডিওবার্তায় বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এবার দেহরক্ষী এবং সেনাসদস্যদের সঙ্গে নিয়ে একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন তিনি।
স্থানীয় সময় রোববার (১৩ মার্চ) ইউক্রেনের একটি সামরিক হাসপাতালে যান জেলেনস্কি। যুদ্ধাহতদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি তুলেছেন সেলফিও। উপস্থিত মানুষের সঙ্গে হাত মেলানোর পাশাপাশি অনেকের হাতে তুলে দেন সম্মাননা। বাহবা দিয়েছেন সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য।
ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি আপনাদের সবার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। এই দেশের সরকার আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এখন সবকিছুই আপনাদের ওপর নির্ভর করছে।’
আরও পড়ুন: এবার খারসনে প্রজাতন্ত্র গড়ছে রাশিয়া, দাবি জেলেনস্কির
আহতদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া ইউক্রেনে চালানো সামরিক অভিযানে ১৩ হাজার সেনা হারিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রোববার (১৩ মার্চ) ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আবারও রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান তুলে ধরা হয়।
এক ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি জানান, এ যুদ্ধে রাশিয়ার ১ হাজার সামরিক যান, ৭৪টি যুদ্ধবিমান এবং ৮৬টি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও অভিযোগ করেন, মারিওপোলের ৮০ কিলোমিটার দূরে খাদ্য, পানি, ওষুধ নিয়ে একটি ত্রাণবহর অপেক্ষা করছে। কিন্তু রুশ বাহিনী তা আটকে দিয়েছে।