ইমরান খান অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পাকিস্তানে শুরু হয়েছে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া। এবার দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শোনা যাচ্ছে দেশটির জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা শাহবাজ শরিফের নাম। তবে কে এই শাহবাজ শরিফ কিংবা কীভাবে তিনি ক্ষমতায় আসছেন, তা নিয়েও কৌতূহলের শেষ নেই।
সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন শাহবাজ শরিফ। এরপর দীর্ঘদিন জেল খাটতে হয় তাকে। তবে গত বছর তার জামিন মঞ্জুর হয়। আর এরপরই সরাসরি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উঠে আসছে শাজবাজের নাম।
ইমরান খান সরকারের পতন হওয়ার পর প্রধান বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পরিষদের স্পিকারের আসনে থাকা আয়াজ সাদিক। স্পিকারের অনুরোধে বক্তব্য রাখেন শাহবাজ। বক্তব্যের শুরুতেই সব নেতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অতীতের তিক্ততায় ফিরে যেতে চাই না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা অবিচার করব না। অকারণে মানুষকে কারাগারে পাঠাব না। আইন ও বিচার প্রক্রিয়া তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কেউ সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না।
৭০ বছর বয়সি শাহবাজের জন্ম লাহোরে। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু ১৯৯৭ সালে পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার মধ্যদিয়ে। ১৯৯৯ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে কারারুদ্ধ ও ২০০০ সালে সৌদি আরবে নির্বাসিত হন তিনি।
এরপর ২০০৭ সালে নিজ দেশে ফিরে আসেন তিনি। পরের বছর ২০০৮ সালের নির্বাচনে ফের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তৃতীয় মেয়াদে ২০১৩ সালেও তিনি প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার শাহবাজ শরিফের অন্যতম বড় পরিচয় তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। নওয়াজ দেশ ছাড়ার পরে পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) প্রেসিডেন্টের আসনে বসেন শাহবাজ। সেই থেকেই ভাতিজি মরিয়াম শরিফকে নিয়ে দল চালাচ্ছেন তিনি।
২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য হন শাহবাজ। আপাতত তাকেই পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যদিও জিও নিউজের এক প্রতিবেদন বলছে, ইমরান খান অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় দেশটিতে সোমবার (১১ এপ্রিল) নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোট হতে পারে।