• আজ ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 একটি পক্ষ সন্ত্রাস ও চাঁদবাজদের লালন করে ক্ষমতায় যেতে চায়: নাহিদ ইসলাম | চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু | চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত | তাজিয়া মিছিলে হাজারো মানুষ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী | আজ ১০ই মহররম, পবিত্র আশুরা |

ঘোড়াঘাটে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজে বাধা

| নিউজ রুম এডিটর ৯:০৫ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ১৩, ২০২২ সারাদেশ

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) সংবাদদাতাঃ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করা হয়েছে। এ নিয়ে ইউএনও ও স্কুল কর্তৃপক্ষ পরস্পর ভিন্ন বক্তব্য প্রদান করেছেন।
গতকাল রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘোড়াঘাট কে.সি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের সীমানা থেকে ৩০ ফুট পশ্চিমে সরকারি খাস খতিয়ানের ১ একর ২ শতক জমির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৮ টি ঘর নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসন শ্রমিকের মাধ্যমে মাটি খনন করাকালে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা বাধা প্রদান করে এবং খনন কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা স্কুলের জায়গায় সরকারি ঘর নির্মাণ বন্ধ করার দাবীতে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আ লিক মহাসড়কে ঘোড়াঘাট বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান গ্রহণ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে সড়কের উভয় পার্শ্বে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যায়। প্রায় ২ ঘন্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন করাকালে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসার কবির ঘটনাস্থলে গিয়ে আশ্বস্ত প্রদান করেন যে, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর তারা অবস্থান ধর্মঘট তুলে নিয়ে স্কুল মাঠে গিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষনা করেন।

এ ব্যপারে বিদ্যালয় প্রধান লুৎফর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি “মধ্য ইংরেজী স্কুল” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৯৪০ সালে এটি ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে। প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে প্রায় ১ একর ৫০ শতক জায়গার মধ্যে ৬৬ শতক রেকর্ডভুক্ত জায়গার উপরে ক্যাম্পাস নির্মাণ করে। বাকি ৮৪ শতক সরকারি খাস জায়গায় আম গাছের বাগান করে ভোগ করে আসছে স্কুল।

এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ রাফিউল আলমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের মাঠের সীমানা থেকে পশ্চিমে একটি দাগে ১ একর ২ শতক জমি রয়েছে। আমরা বিদ্যালয় সীমানা থেকে ৩০ ফুট পশ্চিমে সরকারি ঘর নির্মাণের জন্য ভেকু লাগিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলাম। তিনি জানান, জায়গাটি ১৯৮৬ সালে স্কুল কর্তৃপক্ষ ১ বছরের জন্য লীজ গ্রহন করেছিল। পরবর্তীতে স্কুল কর্তৃপক্ষ লীজ নবায়ন করেননি। ফলে এটি ১ নং খতিয়ান ভুক্ত খাস জমি।