• আজ ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব | টাকা ছাপিয়ে আবারও ২৫শ কোটি টাকা ঋণ দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক | মাগুরার নোমানী ময়দানে সেই শিশুর জানাজা অনুষ্ঠিত | মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত বিচারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন মাগুরার সেই আছিয়া | এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি | হত্যাকান্ড ধামাচাঁপা দিতে ওসির ‘জজ মিয়া’ নাটক |

ঝুকিপূর্ণ সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা, কর্তৃপক্ষ উদাসিন!

| নিউজ রুম এডিটর ৮:১৮ অপরাহ্ণ | মে ৬, ২০২২ মুন্সীগঞ্জ, সারাদেশ

মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার: মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার সিরাজদিখান বালুচর সংযোগ সড়কের ইছামতি নদীর উপর নির্মিত সন্তোষপাড়া স্টিলের সেতুটি দ্বিতীয় বার সংস্কারের পর তৃতীয় বারের মত ভাঙন ধরে মারাত্নক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন চরাঞ্চলের হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। কয়েক মাস পূর্বে দ্বিতীয় বার সংস্কারের পর সেতু দিয়ে যাতে ভাড়ি যানবাহন চলাচল করতে না পারে সে জন্য সেতুর দুপাশে সাপোর্ট লাগানো হয়। বর্তমানে সেতুর দুপাশের লাগানো সাপোর্ট খুলে ভাড়ি ট্রাক ও মালবাহী পিকাপ অবাধে চলাচল করতে লক্ষ করা যাচ্ছে।

এতে করে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেতুটির উপর দিয়ে ভাড়ি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সাইনবোর্ড সাটিয়ে তাদের দায় সেড়েছে। সেতুর উপর দিয়ে মালবাহী ভাড়ি যানবাহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন স্থানীয়। স্থানীয়দের অভিযোগ সেতু কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে সেতুটি দিয়ে ভাড়ি যানবাহন অবাধে চলাচল করতে পারছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির নতুন ট্রাকচার স্থাপন ও পুনরায় প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবী জানানোর পাশাপাশি জনসাধারণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোসহ অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবী জানিয়ে সেতু দিয়ে যাতে ভাড়ি যানবাহন চলাচল না করতে পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয়রা। উল্লেখ্য,সিরাজদিখান-বালুচর সড়কের ইছামতী নদীর উপর স্টীলের সেতুটি ১৯৯৫ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়।

নির্মাণের পর থেকে অদ্যাবধি পর পর দুবার সংস্কার করা হলেও সংস্কারকৃত অংশে এ নিয়ে তৃতীয় বারের মত ভাঙন ধরে সেতুটি মারাত্নক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরে।সিরাজদিখান-বালুচর সড়কের ইছামতী নদীর উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন বালুচরসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। চরাঞ্চলের ইউনিয়ন সমূহ থেকে সিরাজদিখান উপজেলা সদরে প্রবেশের বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি দিয়ে অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন চরাঞ্চলের হাজারো মানুষ।