• আজ ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 কুমিল্লায় ধর্ষণের শিকার নারীকে নিরাপত্তা ও চিকিৎসার নির্দেশ | প্রধানমন্ত্রীর ১০ বছরের মেয়াদে বিএনপি একমত- সালাহউদ্দিন আহমেদ | মধ্যপ্রাচ্যে চার দেশের আকাশসীমা বন্ধ, ঢাকা থেকে সব ফ্লাইট বাতিল  | ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিপর্যস্ত ইসরাইল, নিহত ৩ | সেনাবাহিনীর সাথে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে এক জন নিহত | সিলেটে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে গিয়ে এক নারী গৃহ পরিচারিকাকে ধর্ষণ | ‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের অনেককে আনন্দিত করেছে’ | মাঝ পথে থেমে গেলো কক্সবাজারগামি পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেন | ইসরাইলে ৪ শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান, পাঠিয়েছে শত শত ড্রোন | ইরান কখনো পরাজয় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করবে না: খামেনি |

মায়ের মৃত্যুর পর লাশ ড্রামে ভরে সিমেন্ট-বালি দিয়ে আটকে দিলেন ছেলে: রিপোর্ট

| নিউজ রুম এডিটর ২:০৭ অপরাহ্ণ | মে ১৭, ২০২২ আন্তর্জাতিক

মাকে নিজের সঙ্গে রাখতে চান তিনি। আর তাই মায়ের মৃত্যুর পর তার মরদেহ পানির ড্রামে ভরে সিমেন্ট-বালি দিয়ে গেঁথে দিলেন ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের নীলাঙ্গারা অঞ্চলের সারাবাস্তি এলাকায়।

ইন্ডিয়ান ন্যাশন, বিহাইন্ড উডস, আনন্দবাজার পত্রিকাসহ ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরখানেক আগে স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই বৃদ্ধা মা শেনবাগামকে নিয়ে থাকতেন সুরেশ। খুব কমই বাড়ির বাইরে দেখা যেত শেনবাগামকে। কিন্তু দু’সপ্তাহ ধরে তাকে বাড়ির বাইরে একবারও না দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তখন তারা সুরেশের স্ত্রীকে বিষয়টি জানান।

তিনি আবার সুরেশের ভাইকে খবর দেন। এরপর সুরেশের ভাই ওই বাড়িতে যান। মাকে দেখতে না পেয়ে ভাইকে জিজ্ঞাসাও করেন তিনি। তখন সুরেশ তার ভাইকে বলেন, “মা তো দু’সপ্তাহ আগেই মারা গেছে! যখন মা বেঁচে ছিল কেউ আসেনি।

তাই মারা যাওয়ার পর আমি নিজেই তার সৎকার করেছি। ”
এর পরের উত্তরের জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না। এরপরই সুরেশ তার ভাইকে একটি প্লাস্টিকের ড্রাম দেখান এবং বলেন, “ওই ড্রামেই মা আছে। নিজের সঙ্গে রাখতে মাকে ওখানেই রেখে দিয়েছি আমি। ” এই কথা শুনে চমকে ওঠেন সুরেশের ভাই।

ড্রামের কাছে যেতেই তিনি দেখেন সিমেন্ট-বালি দিয়ে ড্রামের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই পুলিশে খবর দেন সুরেশের ভাই। পুলিশ এসে ড্রাম থেকে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছিল শেনবাগামের।

পুলিশ জানিয়েছে, সুরেশ দর্জির কাজ করেন। স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তিনি।