• আজ ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববাজারে জনসন বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধের ঘোষণা

| নিউজ রুম এডিটর ৩:০৫ অপরাহ্ণ | আগস্ট ১২, ২০২২ আন্তর্জাতিক, লিড নিউজ

ক্ষতিকারক উপাদানের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার।

বৃহস্পতিবার ওষুধ প্রস্তুতকারক এই সংস্থাটি বলেছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী ট্যালকভিত্তিক বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ করবে জনসন অ্যান্ড জনসন। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাজার হাজার ভোক্তা নিজেদের সুরক্ষায় মামলা করার পর ২০২০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ রয়েছে। আর এর দুই বছরেরও বেশি সময় পর এবার ২০২৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এই পণ্যটি বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলো।

বৃহস্পতিবার জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— বিশ্বব্যাপী পোর্টফোলিও মূল্যায়নের অংশ হিসাবে আমরা সব কর্নস্টার্চভিত্তিক বেবি পাউডার পোর্টফোলিওতে রূপান্তর করার বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সংস্থাটি আরও বলেছে, কর্নস্টার্চভিত্তিক বেবি পাউডার ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্রি করা হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় ট্যালক বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল জনসন অ্যান্ড জনসন। সেই সময় কারণ হিসেবে সংস্থাটি জানায়, আইনি চ্যালেঞ্জের বাধার মধ্যে পণ্যটির নিরাপত্তা সম্পর্কে ‘ভুল তথ্য’ ছড়িয়ে পড়ার কারণে চাহিদা কমে গেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। আর তাই দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের ফলে এই উপাদান থেকে হতে পারে প্রাণঘাতী ক্যান্সার। মূলত এ কারণেই কোম্পানিটি ভোক্তাদের কাছ থেকে প্রায় ৩৮ হাজার মামলার সম্মুখীন।

এ ছাড়া ভোক্তাদের মধ্যে বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা দাবি করেছেন, জনসনের ট্যালক পণ্যে থাকা অ্যাসবেস্টসের মাধ্যমে দূষণের কারণে ক্যান্সার সৃষ্টি করেছে। অ্যাসবেস্টস মূলত কার্সিনোজেন নামে পরিচিত। মূলত অ্যাসবেস্টস থেকে নানা ধরনের ক্যান্সার হয়। তাই অ্যাসবেস্টসকে বলা হয় ‘কার্সিনোজেন’।

অবশ্য জনসন অ্যান্ড জনসন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে— কয়েক দশকের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর দেওয়া অনুমোদন তাদের ট্যালক পণ্যকে নিরাপদ এবং অ্যাসবেস্টস-মুক্ত বলে প্রমাণ করেছে। বৃহস্পতিবারও প্রতিষ্ঠানটি তাদের বিবৃতিতে ফের এটিই পুনর্ব্যক্ত করে এবং পণ্যটি বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়।

রয়টার্স বলছে, ১৮৯৪ সালে বিক্রি শুরু হওয়ার পর থেকে জনসনের বেবি পাউডার মূলত এই কোম্পানির পরিবারবান্ধব ভাবমূর্তির প্রতীক হয়ে ওঠে। তবে জনসনের বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতির বিষয়টি ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রথম জনসমক্ষে আনে রয়টার্স।