• আজ ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরাইলের হামলা, ভিডিও প্রকাশ! | ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করল পাকিস্তান | সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে: আইন উপদেষ্টা | একেকজনের মৃত্যুতে জেগে উঠবে শত শত বীর: ইরানের প্রেসিডেন্ট | ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ নির্দেশনা | বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা | ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলাকারী চেয়ারম্যানের কারাগারে ‘আত্মহত্যা’ | ইসরায়েলের হামলাকে ‘বর্বর’ আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা চীনের | ইসরাইলে নতুন করে মিসাইলের বহর ছুঁড়ল ইরান | লন্ডনে ‘একান্ত বৈঠকের’ আলোচনা জাতির সামনে পরিষ্কার করতে হবে |

অবশেষে মুখ খুললেন মরিয়ম মান্নানের মা

| নিউজ রুম এডিটর ৬:৩৬ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ আইন ও আদালত

অবশেষে পুলিশের কাছে মুখ খুলেছেন মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগম। পুলিশের কাছে তিনি অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পুলিশের।

পুলিশ বলছে, রহিমা বেগমকে যখন উদ্ধার করা হয় তখন তার সঙ্গে একটি শপিং ব্যাগ পাওয়া যায়। ব্যাগে ওড়না, হিজাব, আয়নাসহ বিভিন্ন জিনিস পাওয়া গেছে। সাধারণত কেউ অপহরণের শিকার হলে এগুলো পাওয়ার কথা নয়।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব বাংলাদেশ (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান।

পুলিশ সুপার বলেন, শনিবার ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধারের পর থেকে কোনো কথাই বলছিলেন না তিনি। বেলা ১টার দিকে মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ চার মেয়ের মুখোমুখি করা হয় তাকে। এ সময় মেয়েরা মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে তিনি অপহৃত হয়েছিলেন বলে দাবি করেন। কান্নারত অবস্থায় মেয়েরা মাকে বলতে থাকেন, আমাদের ছেড়ে আর কোনোদিন কোথাও যাবে না! আমাদের জমি দরকার নেই। মাকে দরকার, তোমাকে দরকার!

সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, রহিমা বেগম আমাদের জানিয়েছেন, অপহরণের পর অজ্ঞাত স্থানে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জেরে কিবরিয়া, মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন ব্যক্তি তার কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন এবং বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তাকে এক হাজার টাকা দিয়ে ছেড়ে দেন। রহিমা বেগমের দাবি, তিনি কোন জায়গায় আছেন তা বুঝতে পারছিলেন না। এক পর্যায়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর হয়ে পূর্ব পরিচিত ভাড়াটিয়ার ফরিদপুরের বাড়িতে যান। কিন্তু তার কাছে কোনো মোবাইল নম্বর না থাকায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, আমরা রহিমা বেগমের বক্তব্য খতিয়ে দেখছি। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী সবকিছু করা হবে।

এর আগে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুসের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। রহিমা বেগমকে নিয়ে পুলিশের একটি টিম শনিবার রাত ২টার দিকে খুলনার দৌলতপুর থানায় পৌঁছায়।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে পুলিশ রহিমা বেগমকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজ বাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়ে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন বলে দাবি করেন তার মেয়েরা। স্বামী ও ভাড়াটিয়ারা নলকূপের পাশে ঝোপঝাড়ে তার ব্যবহৃত ওড়না, স্যান্ডেল ও বালতি দেখতে পান।

রহিমা বেগমের সন্ধানে ছয় সন্তান কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কখনো মাইকিং, কখনো আত্মীয়স্বজনদের দ্বারস্থ হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনের পর মাকে খুঁজে পেতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানায় মামলাও দায়ের করেন তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজনরা হলেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ রহিমার দ্বিতীয় স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ, জুয়েল ও হেলাল শরীফ।

বাদীর আবেদনের পর এ মামলার তদন্তের ভার পায় পিবিআই। ১৭ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানা থেকে মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়।