ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, মোঃ মাইন উদ্দিন : আগামী ৩ নভেম্বরের নির্বাচনকে ঘিরে জমে উঠেছে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়ন আবদুল হামিদ ভূঞা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির শেষ পর্যায়ের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা।
১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি শিক্ষা-দীক্ষা ও পরীক্ষার ফলাফলের দিক দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। দুই বছর পূর্বেও বিদ্যালয়টি ফলাফলের দিক দিয়া কুলিয়ারচর উপজেলায় ১ম স্থানে ছিল এবং কুলিয়ারচর উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে পুরষ্কার পেয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ফলাফলের অবস্থা খুবই নাজুক। তাই এ বিদ্যালয় পরিচলনা কমিটির নির্বাচন অভিবাবকসহ সকল মহলের কাছে হয়ে উঠছে গুরুত্বপূর্ণ।
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বুঝা যাচ্ছে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। সরেজমিনে ঘুরে ও ভোটারদের সাথে কথা বলে তাদের মতামতের ভিত্তিতে বোঝা যাচ্ছে ৮ জন অভিভাবক সদস্যের মধ্যে লড়াই হবে পঞ্চমুখী।
ফরিদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার, মোড় ও চায়ের দোকানে সকলের মুখে মুখে এখন শুধু ৩ নভেম্বরের নির্বাচন ও পরে কে হচ্ছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এ জল্পনাকল্পনা। অভিভাবক প্রতিনিধির এ নির্বাচনে প্রার্থীরা কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে নিজের পক্ষে ভোট আদায়ের জন্য।দু’বছর মেয়াদি অভিভাবক প্রতিনিধির নির্বাচনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৮ জন পুরুষ ও সংরক্ষিত নারী আসনে ২ জন নারী সদস্য পদপ্রার্থী।
প্রার্থীদের মধ্যে মোঃ আবুল কালাম আজাদ- দোয়াত কলম, হাজী মোঃ সুলাইমান- মোরগ, মোঃ মিলন মিয়া- বাইসাইকেল, মোঃ সাইফুল ইসলাম বই, মোঃ সোহাগ মিয়া- আনারস, মোঃ ফোরকান মিয়া- ফুটবল, মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূঞা রিপন- চেয়ার ও মোঃ আবু নাছের- ছাতা। সংরক্ষিত নারী সদস্যরা হলেন মোছাঃ রওশন আরা- মাছ ও ফাতেমা আক্তার- গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
উল্লেক্ষ্য, এ নির্বাচনে পুরুষ ৪ জন আর সংরক্ষিত নারী ১ জন সদস্য বিজয়ী হয়ে মূল পরিচালনা পরিষদ গঠন করবেন। প্রতিটা প্রার্থী-ই পাশ করলে স্কুলের মান উন্নয়নে কাজ করবেন বলে ভোটারদের দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি।
নির্বাচনে এবার ২১টি গ্রামের মোট ৯৮৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাই প্রার্থীদের দিন- রাত এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে ছুটে চলতে হচ্ছে। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় সবাই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রার্থীরা ভোটের হিসেব পাল্টে দিতে বিভিন্ন ছক আঁকছেন।
অভিভাবকদেরও প্রার্থীদের কাছে প্রত্যাশার শেষ নেই। তবে তাদের মূল চাওয়া বিদ্যালয়ের পূর্বের ন্যায় ভালো ফলাফল ও উন্নত পরিবেশ। এসব বিষয় বিবেচনায় এবার অভিভাবকরা ভোট প্রদান করবেন।
অনেকের মতে এই নির্বাচন আরো বেশি প্রতিদ্বন্ধীতাপূর্ন হয়ে উঠেছে সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থীদের আচরণে। তারা বিভিন্ন অভিভাবক প্রতিনিধিদের ছায়া সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ভিতরে ভিতরে। কিন্তু এ প্রশ্নে মাঠের চিত্র ভিন্নরকম। দলমত নির্বিশেষে সিংহভাগ অভিভাবকদের মুখে মুখে শুনা যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র, টানা ৭ বারের সাবেক সফল সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট মোঃ ইকবাল হোসেন ভূঞা (ডাবল এম.এ)- এর কথা। তাদের মতে বিদ্যালয়কে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হলে ইকবাল হোসেন ভূঞা’র বিকল্প নাই। তবে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটবে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। আর শেষ হাসি কারা হাসবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী বৃহস্পতিবার ৩ নভেম্বর বিকেল পর্যন্ত।