• আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষাব্যবস্থা জাতীকরণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

| নিউজ রুম এডিটর ৭:৪২ অপরাহ্ণ | মার্চ ১৮, ২০২৩ লিড নিউজ, শিক্ষাঙ্গন

নিজস্ব প্রতিবেদক: অবিলম্বে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণে প্রধানমন্ত্রীর হম্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষক নেতারা। তারা বলছেন, অপ্রত্যাশিতভাবে মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক সমাজ অর্ধাহারে, অনাহারে কিংবা উৎসব-পার্বণে মলিন মুখে থাকতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বাশিস) উদ্যোগে শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশ থেকে শিক্ষক নেতারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বাশিসের সভাপতি এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মূখপাত্র মোঃ নজরুল ইসলাম রনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে সারাদেশ থেকে আগত শিক্ষকদের কণ্ঠে উচ্চারিত ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন-করতে হবে জাতীয়করণ’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে জাতীয় প্রেসক্লাব অঙ্গণ।

নজরুল ইসলাম রনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি, বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খা ও ভরসার স্থল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ অনেক দুর এগিয়েছে। বিশ্ববাসী আজ বাংলাদেশকে সমীহ করে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও স্বীয় দক্ষতা ও যোগ্যতাবলে খ্যাতির চূড়ায় আসীন। অথচ মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক সমাজ অর্ধাহারে, অনাহারে কিংবা উৎসব-পার্বণে মলিন মুখে থাকতে হচ্ছে যা আদৌ প্রত্যাশিত নয়। তাই আমরা যে মহানব্রত নিয়ে এ সেবামূলক পেশায় আত্মনিয়োগ করেছি তা যেন স্বার্থক ও সফল হয় তার কা-ারী একমাত্র আপনিই হতে পারেন। আপনার একটি সাহসী সিদ্ধান্তই বদলে যেতে পারে আমাদের ভাগ্যের চাঁকা। শিক্ষা ব্যবস্থায় সাধিত হতে পারে বৈপ্লবিক উন্নয়ন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া মাত্র ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা, উৎসব ভাতা সিঁকিভাগ যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। বেসরকারি শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বদলি, পদোন্নতি, সোনার হরিণ। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, শিক্ষা জাতীয়করণ হলে এ বৈষম্যের অবসান ঘটবে এবং শিক্ষার গুণগত মানের কাঙ্খিত উন্নয়ন সাধিত হবে।

বাশিসের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ভূঞার সঞ্চালনায় উক্ত মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাশিসের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ ফজর আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি এ এসএম মোরশেদুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি আবদুর রহিম, আবুল কাশেম, মোঃ রফিকুল ইসলাম অতিরিক্ত মহাসচিব ওমর ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব প্রফেসর এম এ মতিন, যুগ্ম মহাসচিব আসাদুজ্জামান, খান মোঃ মামুন হোসাইন, সাইফুল ইসলাম, নুর রায়হান মুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আলীম, তানিয়া আক্তার, প্রচার সম্পাদক এ আর রিপন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক দিলরুবা খাতুন এবং জেলা ও উপজেলা নেতারা।

মহাসচিব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ভূঞা বলেন, আমরা সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত কিন্তু এমপিওভূক্ত শিক্ষক কর্মচারী। বেতনের পরিবর্তে আমরা লজ্জাস্কর অনুদান প্রাপ্ত। আমাদের রাইফেল আছে গুলি নাই! আমরা ভারবাহী, ফলভোগী নই। আমারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জাতির পিতার রক্ত যাঁর শিরা-উপশিরা ও ধমনীতে প্রবাহিত, তিনি বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থাকে একদিন না একদিন জাতীয়করণ করবেন। আশার কথা যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতমধ্যেই দেশের বিভিন্ন উপজেলায় কিছু প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেছেন। এজন্য তাঁকে সাধুবাদ জানাই। লক্ষ্য যেহেতু শিক্ষার মানোন্নয়ন তাই বিচ্ছিন্নভাবে নয়, দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করে পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষকের মনের মনিকোঠায় ঠাঁই করে নেবেন এবং বাংলাদেশের শিক্ষার ইতিহাসে নিজের নামটি স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করে রাখবেন।