• আজ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানসিক রোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে না ফেরার দেশে সাবেক নৌ-সদস্য

| নিউজ রুম এডিটর ৬:১০ অপরাহ্ণ | জুলাই ৬, ২০২৩ সারাদেশ

গত চার বছর ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন সাবেক নৌ-সদস্য সামচুল আলম (৭০)। অসুস্থতার কারণেই দুই বছর আগেই অবসরে যান তিনি। দীর্ঘদিন ধরে খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও কোনো সুফল মেলেনি। তাই তাকে সরকারিভাবে চিকিৎসা দিতে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে খুলনার বাসা থেকে আনতে যান ঢাকার কেরানীগঞ্জের মডার্ন সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

জানা গেছে, আজ ভোর রাত ৪টার দিকে সাবেক এই নৌ সদস্যকে নিয়ে খুলনা থেকে আ্যম্বুলেন্সে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন ওই প্রতিনিধি দল। সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদরের পূর্ব মিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা মাটি কাটা ভেকু বহনকারী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় অ্যাম্বুলেন্সটির। এতে ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সে থাকা সামচুল আলমসহ আরও তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও চারজন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সামচুল আলম বরিশাল সদরের আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে খুলনার সামচুল হক রোড এলাকায় বসবাস করতেন।

নিহত সামচুল আলমের ছেলে রিশাদুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। মানসিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে দুই বছর আগে অবসরে যান তিনি। খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হচ্ছিল না। তাই সরকারিভাবে চিকিৎসা দিতে ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি হাসপাতাল থেকে কয়েকজন গত রাতে আমাদের বাসায় আসেন। ভোর ৪টার দিকে আমার বাবাকে নিয়ে খুলনার বাসা থেকে তারা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় আমাদের পরিবারের অন্য কেউ সঙ্গে ছিলেন না। সকাল ৯টার দিকে আমরা খবর পাই, বাবা আর নেই। বাবার লাশ নিতে আসছি। আমার আর কোনো ভাই নেই। মাও অসুস্থ।

গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মারিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সামচুল আলমসহ দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। অন্যজন হলেন অ্যাম্বুলেন্সের চালক
মমিন (৪০)। তিনি রাজবাড়ীর কালুখালীর বোয়ালপাড়া গ্রামের গুলজার খানের ছেলে। আহতরা হলেন- মো. কামাল হোসেন (৪০), মোহাম্মাদ আলী শেখ (৬০) ও বায়েজিদ সিকদার(২৮)। এছাড়া বাকিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। আশা করি দ্রুতই সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবো।