• আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী অঞ্চলে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্য আতঙ্ক

| নিউজ রুম এডিটর ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ | জুলাই ৯, ২০২৩ রাজশাহী

আলিফ হোসেন,তানোরঃ রাজশাহী অঞ্চলে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এর এজেন্টদের একের পর এক নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে গ্রাহকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। একশ্রেণীর এজেন্টদের প্রতারণার কারণে স্বনামধন্য এই বে-সরকারি ব্যাংকের চরম ইমেজ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। উপজেলার কলমা ইউনিয়নে (ইউপি) দরগাডাঙা বাজার ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট শাখার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, কলমা ইউপিতে ৫৬২ জন (ভিজিডি) দুঃস্থমাতা কর্মসূচির কার্ডধারী উপকারভোগী রয়েছে।

সরকারি সহায়তা হিসেবে এরা প্রতিমাসে মাথাপিছু ৩০ কেজি করে দুই বছর বা ২৪ মাস চাল পাবেন। এসব উত্তোলনে তাদের মাথা পিছু ২২০ টাকা করে সঞ্চয় জমা দিতে হয়, এবং দুই বছর পর তাদের এক সঙ্গে সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেয়া হয়। ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এর দরগাডাঙা বাজার এজেন্ট শাখায় তাদের কাছে থেকে সঞ্চয়ের টাকা জমা নেয়া হয়। কিন্ত্ত এখানকার কর্মকর্তা মিঠু এসব গ্রাহকের কাছে থেকে প্রতিমাসে মাথা পিছু সঞ্চয়ের ২২০ টাকা করে নিলেও, তা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে।

ইউপির শালবাড়ী সাঁওতাল পল্লীর বাসিন্দা মাথরা সরেন (৫৫), সিবাসটিনা কিস্কু(৫০), ময়না হাসদা (৪৯) ও লিখালিনা (৪৫) বলেন, তারা প্রতিমাসে মিঠুর কাছে ২২০ টাকা করে জমা দেন। কিন্ত্ত ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাদের নামে কোনো টাকা জমা করা হয়নি। এসব গ্রাহকগণ দ্রুত মিঠুকে আটক ও টাকা ফেরতের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আর ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের মত সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটলে জনগণ কার উপর আস্থা নিয়ে আসবে। সুতরাং এসব লুটেরাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না। আর শাস্তি না হলে গরীবের রক্ত ঘামানো টাকা খোয়া যেতেই থাকবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউপির শালবাড়ি সাঁওতাল পল্লীর বাসিন্দারা টাকা ফেরত পেতে মিঠু দোকানের সামনে সমবেত হলে মিঠু কৌশলে সটকে পড়ে।

প্রসঙ্গত, ইতিপুর্বে মোহনপুর উপজেলার মৌগাছী বাজারের ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ‘ মেসার্স সরকার ফার্মেসী গ্রাহকের সঞ্চয়ের প্রায় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই দরগাডাঙা বাজার ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট শাখায় এমন দুর্নীতির ঘটনায় ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে কলমা ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, মিঠু এর আগেও এমন কাজ করেছে। তিনি বলেন, মিঠুর সঙ্গে আরো কয়েকজন জড়িত আছে এরা সিন্ডিকেট করে অসহায় মানুষের কষ্টার্জিত টাকা আত্মসাৎ করছে। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে মিঠু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এর জন্য তিনি দায়ি না।